সকল মেনু

রহস্য উন্মোচন প্লুটোর

pluto1437476563বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক : মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে সম্প্রতি অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছে নাসার পাঠানো মহাকাশযান নিউ হরাইজন্স। সবচেয়ে দূরের গ্রহটির রহস্যের উন্মোচন করেছে এই মহাকাশযান।

সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের গ্রহ হিসেবে পরিচিত প্লুটো। তবে ২০০৬ সাল থেকে এটি গ্রহের মর্যাদা হারিয়ে বামন গ্রহ হিসেবে পরিচিত। এত দূর প্রান্তে পৌঁছায় ক্ষীণ সূর্যালোক। বামন গ্রহ তাই চিরতুষারের দেশ। বরফের চাদরে ঢাকা এক রহস্যময় জগত।

নাসার মহাকাশযান নিউ হরাইজন্স প্রায় ১০ বছর ধরে ৩০০ কোটি মাইল অতিক্রম করার পর গত ১৪ জুলাই প্লুটোর কাছাকাছি পৌঁছেছে। বামন গ্রহটির মাত্র ১২ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করে নিউ হরাইজন্স। সেসময় মহাকাশযানের তোলা বামনগ্রহের একগুচ্ছ ছবি হাতে পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। এরপর থেকে কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে প্লুটোর যে ছবি পাঠাচ্ছে মহাকাশযান, তাতে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। প্লুটো অভিযানে নিউ হরাইজন্স পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ২০০৬ সালে।

জি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীদের সবচেয়ে হতবাক করছে প্লুটোর ভৌগলিক অবস্থা। বামন গ্রহটিতে সারি সারি বরফের পাহাড়। এক একটির উচ্চতা প্রায় ১১ হাজার ফুট। গ্রহটির কোথাও আবারও বিশাল মাপের এক একটি গর্ত।

এ ছাড়াও গ্রহটিতে জমাট বাঁধা বরফের বিস্তীর্ণ সমতলভূমির সন্ধান পেয়েছে নিউ হরাইজন্স। বিজ্ঞানীদের মতে এই সমতল অঞ্চল ১০ কোটি বছরের পুরনো। ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অঞ্চলটি এখনো ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে।

প্লুটোর মধ্যভাগের বাঁদিকে বরফ পাহাড়ের উত্তর দিকে এই হিমায়িত সমতল অঞ্চলটির অবস্থান। ‘খুব সহজে এই বিস্তৃত অঞ্চলটির ব্যাখা সম্ভব নয়।’ জানিয়েছেন নাসার নিউ হরাইজন্স জিওলজি, জিওফিজিক্স অ্যান্ড ইমেজিং টিমের প্রধান জেফ মুর।

মোটামুটি ২০ কিলোমিটার বিস্তৃত এই অঞ্চলটির উপরিভাগ ফাটল ধরা, অনিয়মিত আকৃতির অংশ নিয়ে গঠিত। অঞ্চলটির চতুর্দিকে অগভীর খাদ রয়েছে।

বামনগ্রহ প্লুটোর রয়েছে পাঁচটা চাঁদ। ধাপে ধাপে সব কটির ছবি পাঠাচ্ছে নিউ হরাইজন্স। আরো বিস্ময়ের জন্য অপেক্ষা করুন, নিউ হরাইজন্সের সাফল্য দেখে এমনটাই বলছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top