সকল মেনু

রাকিব হত্যা, মিন্টুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

1439384547নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ১২ আগস্ট : পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার শিশু রাকিব হত্যা মামলার দ্বিতীয় প্রধান আসামি মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক শরীফের কথিত চাচা ও তার সহযোগী মিন্টু খানও হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার বিকাল সোয়া চারটায় খুলনা মহানগর হাকিম মো. ফারুক ইকবালের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
জবানবন্দিতে মিন্টু বলেন, ‘রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে রাকিবকে হত্যা করা  হয়েছে।’ রিমান্ডের তৃতীয় দিন বুধবার ১৬৪ ধারায় তিনি স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক  (এসআই) মোস্তাক আহমেদ বলেন, রিমান্ডের তৃতীয় দিনের জিজ্ঞাসাবাদে মিন্টু খান হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়। এরপর দুপুর দুইটার দিকে তাকে মহানগর হাকিম মো. ফারুক ইকবালের আদালতে হাজির করা হয়। দীর্ঘ সোয়া ২ ঘন্টা পর বিকাল সোয়া চারটার দিকে তার জবানবন্দি গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
জবানবন্দিতে মিন্টু জানায়, রাকিব শরীফের গ্যারেজের কাজ ছেড়ে চলে যাওয়ায় তার ওপর রাগ ছিল। সেই রাগ এবং ক্ষোভের বশবর্তী হয়েই তাকে হত্যা করা হয়। গত মঙ্গলবার মামলার প্রধান আসামি শরীফ এবং গত ৭ আগস্ট তার মা বিউটি বেগমও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। ফলে এ মামলার তিন আসামিই (শরীফ, শরীফের মা ও কথিত চাচা মিন্টু) হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিলেন। গত ১০ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মোস্তাক আহমেদ খুলনা মহানগর হাকিম মো. ফারুক ইকবালের আদালতে রাকিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি শরীফ ও তার সহযোগী মিন্টুকে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানী শেষে তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১১ আগস্ট মামলার প্রধান আসামি মোটরসাইকেল গ্যারেজ মালিক শরীফ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, ‘রঙের দোকানের সামনে থেকে আমার চাচা মিন্টু রাকিবকে ধরে দোকানে নিয়ে আসে। এ সময় মিন্টু জিন্সের প্যান্ট খুলে রাকিবকে চেপে ধরে আর আমি তার পায়ুপথে গাড়িতে হাওয়া দেয়া কমপ্রেসারের পাইপ ঢুকিয়ে দিয়ে হাওয়া দেই। এতে রাকিব অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে সে মারা যায়” এদিকে, রাকিবের ময়না তদন্ত রিপোর্টে তার উপর চালানো নির্যাতনের লোমমহর্ষক বর্ণনা উঠে এসেছে। মোটরসাইকেলে হাওয়া দেয়া কমপ্রেসার মেশিনের প্রচন্ড বাতাসের চাপে  ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত, নাড়িভূড়ি, পায়ুপথ এবং প্রস্রাবের থলি ফেটে গিয়ে রাকিবের মৃত্যু হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে তার শরীরের ভেতর ও বাইরে মোট ১১টি ক্ষতস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ৮ আগস্ট  খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে জমা দেয়া রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top