সকল মেনু

গাইবান্ধায় আহত মা ছেলে আজ মারা গেছেন, এনিয়ে মৃতের সংখ্যা ৬ জন, গ্রেফতার ৯

রংপুরইকবাল হোসেন, রংপুর : গাইবান্ধায় ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের বাসে পেট্রোল বোমার আগুনে দগ্ধ মা ও ছেলেসহ আরো দুজন মারা গেছে। এনিয়ে মৃত্যের সংখ্যা দাড়ালো ৬ জনে। গতকাল শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা সোনাভান ও ছেলে সুজন মিয়া চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে। পেট্রোল বোমার আগুনে তাদের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল।

মর্মান্তিক এই ঘটনার পর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ঢাকা থেকে হেলিকাপ্টারযোগে গাইবান্ধায় আসেন। এছাড়া ডেপুটি স্পীকারসহ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, ভারপ্রাপ্ত ডিআইজি হুমারুন কবির,  গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. এহছানে এলাহী, পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা পরবর্তীতে সন্ত্রাসী নির্মুলে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে এক জরুরী সভায় মিলিত হন।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আরও ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বাসের যাত্রীরা জানান, নাপু এন্টারপ্রাইজের এই বাসটিতে ৪২টি আসন থাকলেও প্রায় ৭০ জনের মতো যাত্রী ছিলো। এদের বেশির ভাগই দিনমজুর, রিক্সাচালকসহ অন্যান্য পেশার শ্রমজীবি মানুষ। যারা কাজের সন্ধানে ঢাকা যাচ্ছিলেন।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. আবু হানিফ জানান, গত দুদিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ জন দগ্ধ রোগীকে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে দুইজন চিকিৎসাধীন আছেন যাদের অবস্থা উন্নতির দিকে। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
সদর থানার ওসি আহমেদ রাজিউর জানান, অবরোধকারীরা রাতের আঁধারে চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ঢাকাগামী যাত্রীবাহি বাসটিতে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলসহ গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে র‌্যাব, বিজিবির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে সহযোগীতা করা হবে। আপাতত আহতদের জন্য  ৫ হাজার ও নিহতদের জন্য ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা.  মারুফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে বর্তমানে ২০ জন পট্রোল বোমায় দগ্ধ হযে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে তা আমরা বলতে পারছি না। তবে আমারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top