সকল মেনু

মা দিবসে কাউখালীতে আট মা সংবর্ধিত

 কবির হোসাইন, পিরোজপুর প্রতিনিধি : মানুষ মানুষের জন্য- কথাগুলো কেবল গানে আর মুখরোচক শ্লোগানের মধ্যেই বেশির ভাগ সময় সীমাবদ্ধ থাকে। কখনও কখনও সমাজের কিছু মানুষ তাদের কর্মকান্ডে এর যথার্থ প্রতিফলন ঘটাতে পারে। কেউ কেউ তাদের আর্থিক সঙ্গতি দিয়ে আবার অনেকে নিজ উদ্যোগে মানুষের জন্য কোনো অবদান রাখার চেষ্টা করেন।এমনই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী সমাজ সেবক পরোপকারী কাউখালীর আঃ লতিফ খসরু “মা” দিবসে হতদরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত অসহায় ৮ মাকে সংবর্ধিত করে।

বিশ্ব  “মা” দিবস উপলক্ষ্যে রোববার সকাল সাড়ে ৯ টায় পিরোজপুরের কাউখালীতে  আয়োজন করা হয় মায়েদের মিলন মেলা। এ মিলন মেলার আয়োজক কাউখালীর তথ্য কেন্দ্র সংগ্রহ শালার উদ্যোক্তা সমাজ সেবক আঃ লতিফ খসরু। তিনি “মা” দিবসে ৮ মাকে তার প্রতিষ্ঠিত সংগ্রহ শালার চত্বরে সংবর্ধিত করলেন। পরম মমতায় ৮ মাকে মিষ্টি মুখ করিয়ে আপ্যায়ন করলেন। কোন কোন মা তার পরম মমতা আর শ্রদ্ধা দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। এ সময় অন্যাণ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কাউখালী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত রায়।

একই দিনে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সব হারানো কাউখালীর আমরাজুড়ীর অসুস্থ ষাটোর্ধ্ব নারী মুক্তিযোদ্ধা উর্মিলা রানী যিনি কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্পের একটি ছেট্ট ঝুপরি ঘরে মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার পাশে গিয়ে মা দিবসে তাকে সংবর্ধিত করলেন উদ্যোক্তা সমাজ সেবক আঃ লতিফ খসরু। তাকে পরম শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় অসুস্থ এ মাকে সেবা করলেন।

মা দিবসে যারা সংবর্ধিত হলেন, শরৎচন্দ্র রায়ের স্ত্রী বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা ১। উর্মিলা রানী রায়, ২। কাউখালী উপজেলার মৃত: রমনি দাসের স্ত্রী নারী শ্রমিক চারুবালা, ৩। কাউখালী উপজেলার মৃত: রাখাল দাসের স্ত্রী হহদরিদ্র বিন্দা রানী দাস ৪। কাউখালী উপজেলার কুমিয়ান গ্রামের মৃত: রবীন দাসের স্ত্রী নারী শ্রমিক মঞ্জু রানী দাস ৫। একই উপজেলার  সোনাকুর গ্রামের আক্কেল আলীর স্ত্রী মেহেরুন্নেছা, ৬। সোনাকুর গ্রামের দিন মজুর চান মিয়ার স্ত্রী জাহানারা বেগম ৭। সোনাকুর গ্রামের দিনমজুর ইউসুফ আলীর স্ত্রী সোনাবানু ৮। কাউখালী উপজেলার আক্কেল আলী স্ত্রী কোহিনুর বেগম।

সংবর্ধিত অসুস্থ নারী মুক্তিযোদ্ধা উর্মিলা আবেগ আপ্লুত কন্ঠে বলেন, তিনি যুদ্ধের সময় তার স্বামী ও মেয়ে সবই হারিয়েছেন। তাই তাকে সংবর্ধিত করায় তিনি খুব খুশি।

এ ব্যাপারে উদ্যোক্তা আঃ লতিফ খসরু বলেন, আজকের এই দিন মায়েদের জন্য বিশেষ দিন। তার মা নেই। যা কিছু অর্জন তার পিছনে মায়ের অবদান অনেক। আমাদের যাদের মা বেঁচে আছেন সেই মায়ের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার াাহবান জানিয়েছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top