সকল মেনু

নো-ম্যানস ল্যান্ডে নিষিদ্ধ পপি চাষ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ১১ ফেব্রুয়ারি  (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : শিবগঞ্জ সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে নিষিদ্ধ পপির চাষ হচ্ছে। এরসাথে জড়িত রয়েছে ভারতীয়সহ বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ।

জানা যায়, সোনামসজিদ সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে সীমান্ত পিলার ঘেঁষেই পপি চাষ করছে ভারতের জমির মালিকরা। শুধু এখানেই নয়, বিভিন্ন সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন কয়েক হাজার বিঘা জমি এখন পপি চাষে ব্যবহার হচ্ছে।

উৎপাদিত পপি থেকে প্রস্তুত আফিম-হেরোইন সীমান্তেই প্রক্রিয়াজাত হয়ে মাদক সিন্ডিকেটের হাত ঘুরে তা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নানাদেশে চোরাচালান হচ্ছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের দিলালপুর গিয়ে দেখতে পাওয়া যায়, আর্ন্তজাতিক সীমান্ত মেইন পিলার ১৮৪/২ এস এলাকায় ও ভারতের মিলিক সুলতানপুর সীমান্ত পিলার ঘেঁষেই প্রায় ৫০-৬০ বিঘা জমিজুড়েই পপিক্ষেত। নোম্যান্সল্যান্ডে নিজ নিজ জমিতে অবাধে পপিচাষসহ অন্যান্য ফসলও ফলাচ্ছেন উভয় দেশের নাগরিকরা।

সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় পপির চাষে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বিজিবি কর্মকর্তারা। ভারতীয় অংশে পপির চাষ হওয়ায় কার্যত কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তারা। তবে পপি চাষ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিএসএফের কাছে অনুরোধ করেছে বিজিবি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, বাংলাদেশের ভূমির পাশেই সীমান্ত পিলার ঘেঁষে ভারতের মিলিক সুলতানপুর গ্রামের জমির মালিক সাহেব আলী, এখলাশ, আশরাফুল, নজরুল ও সাইফুদ্দিনসহ ১৫-২০ জন নিষিদ্ধ পপিচাষের সাথে জড়িত।

ভারতের মিলিক সুলতানপুরের কয়েকজন পপিচাষী সীমান্ত পিলারের কাছে আসলে তারা জানান, ভারতের পুলিশ ও বিএসএফ জানলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেন না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মাহবুব জানান, বিষয়টি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে হওয়ায় আমাদের করার কিছু নেই। দেশের অভ্যন্তরে হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকতো।

নোম্যান্সল্যান্ডে পপিচাষ হলেও বিজিবি বা পুলিশের তেমন করার কিছু নেই বলে জানান শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুস সোবহান। তবে দেশে কেউ তা করলে আইনের আওতায় নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মনজুরুল আলম জানান, গত সোমবার ভারতের মোহদীপুরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের নিয়মিত বৈঠকে সীমান্তে পপি চাষের বিষয়টি আলোচনা হয়। তবে সীমান্তে পপি চাষ এর বিষয়ে বিএসএফ কিছু জানেনা বলে বৈঠকে জানায়। এই বিষয়ে তারা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top