সকল মেনু

হিলির অগ্নি দগ্ধ তুলির দু’চোখে এখন শুধুই দুঃস্বপ্ন

মো.নুরুন্নবী বাবু,  ১০ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ24বিডি): জয়পুরহাট জেলার ধামুরহাট উপজেলাধীন পল্লীবালা (নওপাড়া) গ্রামের জহির উদ্দিনের কন্যা কলেজ ছাত্রী জলি আকতার তুলির দু’চোখে শুধুই এখন দুঃস্বপ্ন। তুলির বাবা তুলিকে বিবাহিত দু’সন্তানের জনক একই গ্রামের গিয়াস মোল্লার লম্পট পুত্র সায়েম মোল্লার লুলোক দৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে তাঁকে দিনাজপুরের হাকিমপুর থানা সদরের চন্ডিপুর মহল্লার নানার বাড়ীতে রাখার পর তাঁকে বিয়ে দেয়ার জন্য পাত্র পক্ষের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। সে মোতাবেক শুক্রবার পাত্র পক্ষ পাত্রী দেখার জন্য তুলির নানার বাড়ীতে আসারও কথা ছিল। কিন্তু সেই স্বপ্নটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হল। রোববার তুলির বাবা জহির উদ্দিন এ প্রতিবেদক নুরুন্নবী বাবুকে এভাবেই তার দূভাগ্যের বর্ণানাটি দিলেন।

অপর দিকে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত বিদেশী একটি দাতা সংস্থার অর্থায়ানে পরিচালিত চিকিৎসাকেন্দ্র ‘এসিপ সাইভার ফাউন্ডেশন’ (এএসএফ) নামক একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে তুলি চিকিৎসাধীন রয়েছে। রোববার সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তুলির অবস্থা এখনও সংকট মুক্ত নয়। প্রসঙ্গত, এই চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে এসিডদগ্ধ ও অগ্নিদগ্ধ রোগীদের বিনামূলে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। অগ্নিদগ্ধের এ ঘটনায় জহির উদ্দিন বাদী হয়ে হাকিমপুর থানায় সায়েম মোল্লা কে আসামী করে শুক্রবার রাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও দার্য্য পদার্থদ্বারা হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাকিমপুর থানা পুলিশ অভিযুক্ত আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়নি। তুলির নানার বাড়ীতে শুক্রবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দূর্বত্তরা তুলিকে লক্ষ করে দার্য্য পদার্থ দ্বারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় সে মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। এঘটনায় তুলির নানীও সামান্য অগ্নিদগ্ধ হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top