সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতে চান নতুন প্রতিমন্ত্রীরা

বেশ উচ্ছ্বসিত নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীরা। সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার পর মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর এই আস্থার প্রতিদান কাজের মাধ্যমে দিতে চান বলে জানিয়েছেন নতুন প্রতিমন্ত্রীরা।

শুক্রবার বঙ্গভবনে সাত প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়ে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। তারা এসময় নিজেদের অভিব্যক্তি তুলে ধরেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার ওপর আস্থা রেখে প্রধানমন্ত্রী পাঁচবার মনোনয়ন দিয়েছেন। আমি আমার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কারও মুখের দিকে তাকাবো না। আমি দেশের মানুষের কল্যাণে যা করতে হয় করবো। আমাকে শ্রম ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আমার কিছু অভিজ্ঞতা আছে। আমি পাঁচ বছর স্থায়ী কমিটিতে ছিলাম। এখানে ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা আছে। এই প্রজেক্টটা খুবই জরুরি। এ ব্যাপারে কাজ করতে হবে।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া নাহিদ ইজাহার খান বলেন, সংসদে এবার আমি দ্বিতীয়বার। প্রধানমন্ত্রী এবারও আমাকে নিয়ে আসছেন। উনি আমার ওপরে যে আস্থাটা রেখেছেন, আমাকে যে নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা আমি শতভাগ পূর্ণ করতে চেষ্টা করবো।

অর্থ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, সংসদে বিভিন্ন দায়িত্ব আমি গত ১০ বছর ধরে পালন করছি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাপতি ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী দ্বাদশ সংসদেও কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। আরও কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এখন যে চ্যালেঞ্জই থাকুক, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশনা পাবো। অনেক বিজ্ঞ লোকজন সঙ্গে থাকবেন। উনাদের নির্দেশনায় কাজ করতে পারবো। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করবো।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নিশ্চয়ই এটা আমার জন্য সৌভাগ্য। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা আমি রাখবো। সর্বোচ্চ আনুগত্য দেখিয়ে কাজ করবো। প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন তা দায়িত্ব পালনে শতভাগ রাখতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সামসুন্নাহার চাঁপা বলেন, আমি নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ, আমার আসলে এটা খুবই ভালো লাগার বিষয়। আমি নিজে নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাবো। ব্যক্তিগতভাবে কাজকে খুব পছন্দ করি।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীসহ ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ সরকার। দুই মাস না পেরুতেই সেই মন্ত্রিসভায় যুক্ত হলেন আরও সাত সদস্য। এতে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২-এ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top