সকল মেনু

অস্বাভাবিক,দল বিএনপিকে বোঝা কঠিন: আশরাফ

AL+Meeting জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম:  সংলাপের আমন্ত্রণ গ্রহণ না করার পর নতুন করে সরকারি উদ্যোগ প্রত্যাশা নিয়ে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বুধবার দলের এক সভায় বক্তব্যে তিনি বিএনপি গঠনের ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “বিএনপি ইজ নট এ নরমাল পলিটিক্যাল পার্টি। কমপ্লেক্স পলিটিক্যাল বিষয় নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করা দুরূহ। মিলিটারি কায়দার রাজনৈতিক দলের মনোভাব বোঝা কঠিন।”

রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে দুই নেত্রীর সংলাপের প্রসঙ্গ ধরে একথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আশরাফ। গণভবনে ওই সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন, তবে আশরাফের বক্তব্যের সময় তিনি সভায় ছিলেন না।

বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও এক্ষেত্রে সংবিধান অনুসরণের পক্ষপাতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিলে তার পাল্টায় নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দেন বিরোধী নেত্রী।

এর মধ্যেই গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশে সরকারকে আলোচনা করতে দুই দিন সময় বেঁধে দিয়ে তা না হলে রোববার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এরপর শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেন বিরোধী নেত্রীকে। শেখ হাসিনা হরতাল প্রত্যাহার করে গণভবনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে জানালে খালেদা জিয়া বলেন, হরতাল শেষ হলেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেন তিনি।

এরপর পুনরায় সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে।

এর মধ্যে গণভবনের ওই অনুষ্ঠানে সরকারের মুখপাত্র আশরাফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কয়েকদিন পর এখন তারা আবার আমন্ত্রণ চাচ্ছেন।”

বিরোধীদলীয় নেতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনার সব সময় রাজকীয় ভাব। একবার দাওয়াত দিলাম। আবার দাওয়াতের জন্য বসে আছেন। আমরা একশ’ বার দাওয়াত দেব!

“প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ স্ট্যান্ডিং। আমরা তার রিপ্লাইয়ের (জবাব) জন্য অপেক্ষা করছি,” বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সিদ্ধান্ত, প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ায় সংলাপ এগিয়ে নিতে হলে এখন পরবর্তী টেলিফোন খালেদা জিয়াকে করতে হবে।

তবে এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাল্টা বক্তব্য, “আমরা কেন টেলিফোন করব। সংলাপের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। নইলে প্রমাণিত হবে তাদের সদিচ্ছা নেই।”

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সামনে রেখে গণভবনের ওই সভায় গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক সংলাপের উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে আর না নেয়ার পরামর্শ দেন।

“তারা (বিরোধী দল) আলোচনার উদ্যোগ না নিলে আলোচনার দরকার নাই। আমাদের কর্মীরা নির্বাচনের প্রচারণার জন্য নির্দেশনা চায়।”

এই সভায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলার দলীয় সাংসদ এবং নেতারা অংশ নেন।
৩ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে উপস্থিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশরাফ বলেন, “দুর্বলের সঙ্গে কেউ সন্ধি করে না। শক্তি হলে সবাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসবে। লাঠি বা বন্দুকের শক্তি না, সমর্থকদের শক্তি। এটাই বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমদ বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা গভীর চক্রান্ত শুরু করেছে- দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখন সময় এসেছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।”

দলীয় নেতা ও কর্মীদের রাজপথে থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় সবাইকে সক্রিয়া হতে হবে।

গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল আরো বলেন, “গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পরাজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু, আমরা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”

নরসিংদী জেলার সভাপতি আসাদুজ্জামান দলের সবার সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে বলেন, “আগামী নির্বাচন ক্ষমতার নয়, অস্তিত্বের নির্বাচন।”

ঢাকা জেলার সভাপতি বেনজির আহমেদ সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তারেক রহমান লন্ডনে বসে আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। আমরা কি তা বসে বসে দেখব?”

সভায় ঢাকার সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মুন্সীগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফও সভায় ছিলেন।

দল বিএনপিকে বোঝা কঠিন: আশরাফ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম:

 
সংলাপের আমন্ত্রণ গ্রহণ না করার পর নতুন করে সরকারি উদ্যোগ প্রত্যাশা নিয়ে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
বুধবার দলের এক সভায় বক্তব্যে তিনি বিএনপি গঠনের ইতিহাসের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “বিএনপি ইজ নট এ নরমাল পলিটিক্যাল পার্টি। কমপ্লেক্স পলিটিক্যাল বিষয় নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করা দুরূহ। মিলিটারি কায়দার রাজনৈতিক দলের মনোভাব বোঝা কঠিন।”

রাজনৈতিক সঙ্কটের আশঙ্কার মধ্যে দুই নেত্রীর সংলাপের প্রসঙ্গ ধরে একথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আশরাফ। গণভবনে ওই সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন, তবে আশরাফের বক্তব্যের সময় তিনি সভায় ছিলেন না।

বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও এক্ষেত্রে সংবিধান অনুসরণের পক্ষপাতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিলে তার পাল্টায় নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা দেন বিরোধী নেত্রী।

এর মধ্যেই গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশে সরকারকে আলোচনা করতে দুই দিন সময় বেঁধে দিয়ে তা না হলে রোববার থেকে ৬০ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

এরপর শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী টেলিফোন করেন বিরোধী নেত্রীকে। শেখ হাসিনা হরতাল প্রত্যাহার করে গণভবনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে জানালে খালেদা জিয়া বলেন, হরতাল শেষ হলেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেন তিনি।

এরপর পুনরায় সংলাপের আমন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষ পরস্পরকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে।

এর মধ্যে গণভবনের ওই অনুষ্ঠানে সরকারের মুখপাত্র আশরাফ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কয়েকদিন পর এখন তারা আবার আমন্ত্রণ চাচ্ছেন।”

বিরোধীদলীয় নেতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উনার সব সময় রাজকীয় ভাব। একবার দাওয়াত দিলাম। আবার দাওয়াতের জন্য বসে আছেন। আমরা একশ’ বার দাওয়াত দেব!

“প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ স্ট্যান্ডিং। আমরা তার রিপ্লাইয়ের (জবাব) জন্য অপেক্ষা করছি,” বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সিদ্ধান্ত, প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ায় সংলাপ এগিয়ে নিতে হলে এখন পরবর্তী টেলিফোন খালেদা জিয়াকে করতে হবে।

তবে এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাল্টা বক্তব্য, “আমরা কেন টেলিফোন করব। সংলাপের উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। নইলে প্রমাণিত হবে তাদের সদিচ্ছা নেই।”

জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সামনে রেখে গণভবনের ওই সভায় গাজীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক সংলাপের উদ্যোগ সরকারের পক্ষ থেকে আর না নেয়ার পরামর্শ দেন।

“তারা (বিরোধী দল) আলোচনার উদ্যোগ না নিলে আলোচনার দরকার নাই। আমাদের কর্মীরা নির্বাচনের প্রচারণার জন্য নির্দেশনা চায়।”

এই সভায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলার দলীয় সাংসদ এবং নেতারা অংশ নেন।
৩ নভেম্বরের সমাবেশ সফল করতে উপস্থিত নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আশরাফ বলেন, “দুর্বলের সঙ্গে কেউ সন্ধি করে না। শক্তি হলে সবাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসবে। লাঠি বা বন্দুকের শক্তি না, সমর্থকদের শক্তি। এটাই বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি।”

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমদ বিরোধী দলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়ে বলেন, “বিরোধীদলীয় নেতা গভীর চক্রান্ত শুরু করেছে- দেশকে অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখন সময় এসেছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।”

দলীয় নেতা ও কর্মীদের রাজপথে থাকার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় সবাইকে সক্রিয়া হতে হবে।

গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল আরো বলেন, “গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে পরাজয়ের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ক্ষতি হয়েছিল। কিন্তু, আমরা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছি।”

নরসিংদী জেলার সভাপতি আসাদুজ্জামান দলের সবার সক্রিয়তা প্রত্যাশা করে বলেন, “আগামী নির্বাচন ক্ষমতার নয়, অস্তিত্বের নির্বাচন।”

ঢাকা জেলার সভাপতি বেনজির আহমেদ সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তারেক রহমান লন্ডনে বসে আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে। আমরা কি তা বসে বসে দেখব?”

সভায় ঢাকার সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মুন্সীগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফও সভায় ছিলেন।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top