সকল মেনু

মিষ্টি কুমড়া ও সিম চাষে স্বাবলম্বী ওবায়দুর

হটনিউজ ডেস্ক:

বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার সবজি ও তরকারি উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে জেলার সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী। শীতকালীন সবজির মধ্যে বর্তমানে বেগুন, করল্লা, সিম, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, কাঁচাকলা, শষা, গাজর, মূলা, পাতাকপি, ফুলকপি, লালশাক, পালংশাক, টমেটো এবং ধনিয়াপাতাসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি উৎপাদনে চাষিরা সাফল্য দেখিয়ে আসছে।

এখানে প্রতিদিন সকালে এলাকার বাজারগুলোতে বিভন্ন প্রকার সবজি ও তরি-তরকারি পাইকারী ও খুচরা দামে বিক্রি হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন স্থানীয় মজুমদার বাজার থেকে তরকারি ক্রয় করে ট্রাক সহ বিভিন্ন পরিবহনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি দামে বিক্রি করে থাকেন। দীর্ঘদিন যাবৎ বৃহত্তর ফরিদপুরের মধ্যে শৌলডুবী মজুমদার বাজার তরকারি রপ্তানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে।

এই এলাকার মাটি সবজি চাষে উর্বর শক্তি বেশি হওয়ার কারণে স্থানীয় তরকারি উৎপাদন কারীরা প্রতি বছর বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি উৎপাদনে চাষিরা সাফল্য দেখিয়ে আসছে। শৌলডুবী মজুমদার বাজার এলাকার বাসিন্দা কৃষক ওবায়দুর মিয়া মিষ্টি কুমড়া ও সিম চাষ করে সফলতা লাভ করেছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, ওবায়দুর মিয়ার চাষের জমিতে মিষ্টি কুমড়া ও সিমের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মন মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় ৭ শত থেকে ৮ শত টাকা। সে হিসেবে এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

অপরদিকে এক বিঘা জমিতে সিম চাষ করতে ২০ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি মন সিমের বর্তমান বাজার মূল্য ৯ শত থেকে ১ হাজার টাকা। সে হিসেবে এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত সিম বিক্রি হয় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। সরকার অত্র এলাকার চাষিদের সবজি চাষে প্রণোদনা দিলে চাষিরা আরও ব্যাপক ভাবে ঝুকে পরবে।

এ ব্যাপারে আরও কয়েজন সবজি উৎপাদন কারী চাষিদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বর্তমানে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে স্বল্প সময়ে এখান থেকে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি ও তরি-তরকারি দেশের বৃহত্তম আড়ৎ ঢাকার কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সবজি পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় কৃষকরা আগামীতে আরও বেশি জমিতে সবজি আবাদ করার অভিমত প্রকাশ করেছেন।

সদরপুর কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় বাংলাদেশ জমিনকে জানান, কৃষি অফিস কৃষকদের জন্য সারা বছর ব্যাপী বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান ও বিনামূল্যে সার, বিজ বিতরণ করে থাকে এবং সরেজমিনে চাষিদের খোঁজ খবর নেওয়া হয়। বর্তমান সরকার কৃষি পণ্য উৎপাদনে ব্যাপক কমসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top