হটনিউজ ডেস্ক:

ফরিদপুরের সালথায় বাবার মৃত্যুর একদিন পর মো. সাহিন শেখ (৩৫) নামে এক ভ্যানচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সাহিন উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের পোড়াগদী গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহান শেখের ছেলে। ঋণের চাপে ও স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ায় তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে।

নিহতের আপন চাচা আব্দুল ওহাব শেখ অভিযোগ করে বলেন, সাহিন শেখ ঢাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাড়িতে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতেন স্ত্রী সীমা বেগম। সাহিন কয়েকটি এনজিও থেকে ঋণ তুলে অনেক টাকার দেনা হয়ে যায়। যে কারণে বাড়িতে ঠিকমত আসতো না। এই সুযোগে সাহিনের আপন ছোট ভাই অবিবাহিত শামিম শেখের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী সীমা বেগম। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে নিজ ঘরের মধ্যে মারা যান সাহিনের বাবা আব্দুস সোবহান শেখ (৭০)। তবে সে খাটের ওপর একাই মরে ছিল। কিভাবে কি সে মারা গেছে তাও কেউ বলতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে সব মিলিয়ে নানা টেনশন নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন সাহিন। বাড়িতে এসে বাবার লাশ দাফন করার পর শুক্রবার বিকালে স্ত্রীকে তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্ত্রীকে মারধরের চেষ্টা করলে ভয়ে বিকালেই সে সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে ক্ষোভ আর হাতাশা নিয়ে সাহিন গলায় স্ত্রীর শাড়ি কাপড় পেচিয়ে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা সাহিদের সারাশব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতর গিয়ে তার লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে।

এ বিষয় অভিযুক্ত শামিম শেখ ও সাহিনের স্ত্রী সীমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ঋণের চাপে ও স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ার কারণে সাহিন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি আরো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।