সকল মেনু

জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান বাশেলেত ঢাকায়

হটনিউজ ডেস্ক:

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান ও মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত রবিবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তিনি এ সফর করছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধানের বাংলাদেশে এটিই প্রথম দাপ্তরিক সফর।

মিশেল বাশেলেতের বাংলাদেশ সফরের প্রাক্কালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অঙ্গীকারের প্রশংসা চায় সরকার। একই সঙ্গে সরকার মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনীতিকীকরণের যেকোনো চেষ্টা প্রত্যাখান করছে।

মিশেল বাশেলেত দুই মেয়াদে চিলির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার দায়িত্ব পালন করছেন। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর জানায়, হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে তিনি সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে বক্তব্য রাখবেন।

হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেত এ দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে কক্সবাজার যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছাড়ার আগে তিনি আগামী বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান এমন এক সময় সফরে আসছেন যখন বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দেশে বিদেশে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি এ সফরের প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন মিশেল বাশেলেতকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তরের প্রধান মিশেল বাশেলেতের সফরে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরবে সরকার। মিশেল বাশেলেত মানবাধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখবেন এবং চ্যালেঞ্জগুলো জানতে পারবেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ফলে গণমাধ্যম ও নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছে। এছাড়া নাগরিক সমাজের কাজের সুযোগ ও বিভিন্ন বাধা নিয়েও তারা উদ্বেগ জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top