সকল মেনু

মাঙ্কিপক্স রোধে বন্দরে বন্দরে সতর্কতা

হটনিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। এরই মধ্যে ১২টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এ রোগ। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশে যেন মাঙ্কিপক্স না ছড়ায়, সেদিকে সতর্ক রয়েছে বাংলাদেশ। দেশের সব বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং স্ক্রিনিং জোরদার করতে দেওয়া হয়েছে নির্দেশ।

আজ রোববার অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতকর্তা জারি করা হয়।

সতর্কবার্তা দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম বন্দর, সিলেটের সিভিল সার্জন এবং আন্তর্জাতিক বন্দর আছে—এমন জেলার সিভিল সার্জনদের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) গতকাল শনিবার বিশ্বের ১২টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল। এর মধ্যে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রলিয়া এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে।

সকর্তকতা জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টি রাখা এবং স্ক্রিনিং জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সতর্ক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে মাঙ্কিপক্সের রোগী শনাক্ত হয়েছে। মাঙ্কিপক্স নতুন কোনো রোগ নয়। তবে, আগে এ ধরনের রোগী পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকার বলে ধরা হয়। সম্প্রতি এসব দেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই—ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেসব রোগীর ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে, এমন দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন অথবা এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, যাঁর একই রকম ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছে বা নিশ্চিত অথবা সন্দেহজনক মাঙ্কিপক্স রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, এমন রোগীদের সন্দেহজনক রোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণযুক্ত রোগীকে কাছের হাসপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এ বিষয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) তথ্য জানাতে হবে।

শাহজালাল বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘এমন একটি নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক যাত্রীকে এখন স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে, এখন পর্যন্ত অসুস্থ কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। মাঙ্কিপক্স রোগে আক্রান্ত বা সন্দেহজনক রোগী পাওয়া গেলে তাঁকে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল রেফার করা হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top