সকল মেনু

স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে খুন!

হটনিউজ ডেস্ক:

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে গত ১৫ এপ্রিল স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে যান কামরুল। সেখানে স্ত্রীকে বিক্রি করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দেশে পালিয়ে আসেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে ফিরে প্রচার করেন বিদেশের মাটিতে সালমাকে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।

কামরুলের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বুধবার যশোর কোতোয়ালি থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন সালমার বাবা শহিদুল ইসলাম। রাতে অভিযুক্ত কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি যশোর সদর উপজেলার বানিয়ারগাতী গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, গত ১৫ এপ্রিল কামরুল ইসলাম (৩০) তার নিজ স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২৪) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। এর পর ৮ মে স্ত্রীকে ছাড়াই কামরুল ইসলাম দেশে ফিরে আসেন। স্ত্রী সালমা খাতুনের পরিবারের লোকজন কামরুল ইসলামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাজে আচরণ করে বাড়ি থেকে বের করে দেন।

ভারতে সালমা খাতুনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পান পরিবারের লোকজন। সালমা খাতুনের পিতা সহিদুল ইসলাম বুধবার কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা করেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় রহস্য উদ্ঘটন ও ভিকটিম উদ্ধারের দায়িত্ব পায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ভিকটিম সালমা খাতুনকে ভারতের গুজরাট রাজ্যে নিয়ে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যা করে কামরুল দেশে এসে পালিয়ে আছে।

এর পর বুধবার গভীর রাতে কোতোয়ালি থানাধীন বসুন্দিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম সালমা খাতুনের পাচারকারী স্বামী কামরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল জানিয়েছেন, তার স্ত্রী সালমা খাতুনকে চাকরির দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ভারতে নিয়ে গুজরাট রাজ্যের ভালেজ থানা এলাকায় আটক রেখে বিক্রির চেষ্টায় ব্যর্থ হন। সেখানে একটি ভাড়া বাসার মধ্যে নাকে-মুখে আঘাত করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে দেশে পালিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের তিনটি পাসপোর্ট, ভিকটিমের পাসপোর্ট ও ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে নিহত সালমা খাতুনের বাবা শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দুই বছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে পাশের গ্রামের ছেলে কামরুলের বিয়ে হয়। তাদের সন্তান না হওয়াতে ডাক্তার দেখানোর নাম করে তার কামরুল গত ১৫ এপ্রিল ছালমাকে ভারতে নিয়ে যায়। রোববার কামরুল ভারত থেকে ফিরে এসে তাদের জানায় সালমাকে হারিয়ে ফেলেছে। এ সময় তার আচরণে সন্দেহ হলে পুলিশে অভিযোগ দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top