সকল মেনু

বিয়ের প্রলোভনে শ্যালিকাকে ধর্ষণ করে সন্তান জন্ম, দুলাভাই গ্রেপ্তার

হটনিউজ ডেস্ক:

আপন বড় বোনের স্বামীর হাতে প্রথমে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। পরে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গত জুনে সন্তান জন্ম হয় ওই তরুণীর। এ ঘটনায় দুলাভাই মানিক মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে মদন থানার পুলিশ।

রোববার বিকালে তাকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গেল শনিবার দিবাগত রাতে নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মানিকের সঙ্গে ভুল নাম্বারে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয় নেত্রকোনার মদন উপজেলার ভুক্তভোগী তরুণীর (১৯) বড় বোনের। দীর্ঘদিন আগে প্রেমের টানে মানিক মিয়া মদন উপজেলায় এসে ওই তরুণীর বড় বোনকে বিয়ে করে মদনেই সংসার জীবন শুরু করে।

সংসার জীবনে ৭ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে তাদের। গত বছরের কোনো একদিন মানিক মিয়া তার শ্যালিকাকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার একপর্যায়ে ওই তরুণী (শ্যালিকা) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে মানিক মিয়া নোয়াখালীতে পালিয়ে যায়।

এদিকে গত জুন মাসে ওই তরুণী (শ্যালিকা) একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনা আদালতে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ২১ সেপ্টেম্বর মদন থানায় মামলা দায়ের হয়। এরই প্রেক্ষিতে মদন থানার এসআই আবদুল আজিজ ফোর্স নিয়ে শনিবার রাতে নোয়াখালীর সোনামুড়ী উপজেলার বগাদিয়া গ্রাম থেকে মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে মদন থানায় নিয়ে আসেন।

এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে মানিক মিয়াসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। প্রধান আসামি মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করে রোববার বিকালে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top