সকল মেনু

ছেলের কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায়ে বাবার লাশ আটক

হটনিউজ ডেস্ক:

ছেলের কাছে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য মৃত সিরাজ উদ্দিনের লাশ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রভাশালী শহিদুল মাস্টার, আদম ও ইয়ারুলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পিরোজপুর ক্যাম্প পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতের লাশ উদ্ধার না করে প্রভাবশালীর পক্ষ নিয়েছে বলেও জানায় গ্রামবাসী।

শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও মৃত সিরাজ উদ্দিনের পরিবার জানায়, সাহাবুল ২ বছর পূর্বে বিদেশে যাবার জন্য ইয়ারুল ইসলামের কাছে ৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেয়। করোনার কারণে ইয়ারুলকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হন সাহাবুল। সম্প্রতি ইয়ারুল টাকা ফেরত চান।

ওই টাকা ফেরত না দিতে না পারার কারণে সাহাবুলের পিতা সিরাজ উদ্দিন ইয়ারুলের নামে একটি জমি এগ্রিমেন্ট করে দেন। ইয়ারুলের নামে এগ্রিমেন্ট করে দেওয়ার পর সিরাজ উদ্দিন তার এক নাতির নামে ওই জমি রেস্ট্রি করে দেন। পরে শুক্রবার দুপুরের দিকে সিরাজ উদ্দিন আকস্মিক মারা যান।

পরে আসরের নামাজের পর সিরাজের লাশ দাফনের প্রস্তুতি গ্রহণ করার পরপরই শহিদুল মাস্টার, আদম ও ইয়ারুলের নেতৃত্বে তাদের লোকজন সিরাজের লাশ আটকে দেয়। এ ঘটনার পর রাত ৮ টার দিকে সিরাজ উদ্দিনের ছেলেমেয়ের কাছে লিখিত নিয়ে লাশ দাফন করতে দেয়।

গ্রামবাসী জানান, পিরোজপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে থাকলেও অজ্ঞতকারণে নিরব ভূমিকা পালন করে। লাশের ওয়ারিশদের কাছে থেকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প লিখে নিতে একটি পক্ষকে সহযোগিতা করেছে। পুলিশের এ নিরব ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে দাবি করেন মৃতের ছেলে সাহাবুলের। অভিযুক্ত আদম সাংবাদিকদের বলেন, মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলেরা এ টাকার জন্য জমি স্ট্যাপ করে দেবে তারপর লাশ আমাদের লোকজন ছেড়ে দেবে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন ক্যাম্পের আইসি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি মেহেরপুর থানার ইনচার্জকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন- ওয়ারিশদের সাথে বসে মীমাংসা করতে। তিনি আরো বলেন, উভয় পক্ষের দোষ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা হবার জন্য ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিয়েছেন। কাল (শনিবার) সকালে ইউনিয়ন পরিষদে বসে মীমাংসা হবে। আপাতত মৃতের ওয়ারিশের কাছ থেকে একটি লিখিত নিয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহা দারা বলেন, বিষয়টি শুনেছি। মৃতের ওয়ারিশদের সাথে কথা বলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করতে স্থানীয় ক্যাম্প ইনচার্জকে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top