সকল মেনু

ওঁরা আমায় কিছু দেখতে দেয়নি,আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন

হটনিউজ ডেস্ক:

যত দিন যাচ্ছে ততই ঘনীভূত হচ্ছে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্য। বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এবার বিস্ফোরক তথ্য দিয়ে সেই রহস্য আরও ঘনীভূত করলেন সুশান্তের মৃত্যুর পর দরজা ঘরের তালা ভাঙা চাবিওয়ালা।
সুশান্তের বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা একাধিক বার জেরায় জানিয়েছেন, ডিজিটাল লক ছিল। তাই সুশান্তের ঘরের তালা ভাঙার জন্য বাইরে থেকে লোক ডাকা হয়েছিল সেদিন।

জানা গেছে, তালা খোলার জন্য যে ব্যক্তিকে ডাকা হয়েছিল তার নাম মুহাম্মদ রফি শেখ।

‘ইন্ডিয়া টুডে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি যা বললেন, তা সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো।

ওই ব্যক্তি জানান, সেদিন ছিল রবিবার। দুপুরের দিকে তার কাছে একটি নম্বর থেকে ফোন করে সুশান্তের বাড়ির ঠিকানা দেওয়া হয়। রফি শেখ যদিও জানতেন না তিনি সুশান্তের বাড়ি যাচ্ছেন। তিনি এসে দেখেন, বেডরুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। কম্পিউটারাইজড লক দেখে তিনি একটু বেশিই টাকা চান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিরা তাকে বলেন- টাকাটা কোনও ব্যাপার নয়। আগে দরজা খুলুন। এরপর ছুরি এবং হাতুড়ি দিয়ে তালা ভাঙেন তিনি।”

তারপরই কি সুশান্তের ঝুলন্ত মরদেহ চোখে পড়ে তার? উত্তরে ওই ব্যক্তির জবাব, “ওঁরা আমায় কিছু দেখতে দেয়নি। আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।”

ওঁরা কারা? তার উত্তর, “তিন-চারজন ছিলেন। আমি তাদের নাম জানি না।”

ওই তিন-চার জন ব্যক্তির মধ্যে কি পুলিশও ছিল? “না, কোনও পুলিশ ছিল না”, জানান ওই চাবিওয়ালা।

পুলিশের অনুপস্থিতিতে কী করে ও কেন তালা ভাঙা হল সে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ওই ব্যক্তির দাবি, যে কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন সুশান্ত ভেতরে সাড়াশব্দ করছেন না দেখেও তাদের মধ্যে চিন্তার বিন্দুমাত্র লেশ ছিল না। তালা ভেঙেই ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মুহাম্মদ শেখ।

যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই আবারও ফিরে আসতে হয় তাকে। এবার মুম্বাই পুলিশ ডেকে পাঠায় তাকে। তার দাবি, তখনই তিনি জানতে পারেন, যে বাড়ির তালা তিনি ভেঙে এলেন, সেটি অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাড়ি।

সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলটি প্রয়োজনে ডেকে পাঠাতে পারে মুহাম্মদ রফি শেখকে। সূত্র: আনন্দবাজার

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top