সকল মেনু

সোলেইমানিকে হত্যায় চরম প্রতিশোধের হুমকি দিলেন খামেনি

হটনিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহতের ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি জানিয়েছেন, এ হামলার পেছনে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ইরানে ‘হাজি কাসেম’খ্যাত জনপ্রিয় এ জেনারেলের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে শুক্রবার খামেনির পক্ষ থেকে এই হুঁশিয়ারি বার্তা আসে। পাশাপাশি ৬২ বছরের কাশেম সোলেইমানির মৃত্যুতে ইরানে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়।

শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় কাসেম সোলেইমানিসহ বেশ কয়েকজন নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশনা অনুযায়ী সোলাইমানকে হত্যা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ও ইসরায়েলের মোসাদের হিটলিস্টে থাকা ‘বিশ্বের এক নম্বর জেনারেল’ সোলেইমানিকে একজন সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করত ওয়াশিংটন। সোলেইমানির সঙ্গে থাকা ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও এ হামলায় নিহত হয়েছেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি একটি টুইটে জানান, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের হঠকারিতার ফল অবশ্যই ভোগ করবে। রেভল্যুশনারি গার্ডের সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজাই বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়বে। ইরান সরকারের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দেশটির শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা এ পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসছেন।

ইরানের কুদস ফোর্সের নেতৃত্ব দেওয়া সোলেইমানি ইরানের শাসনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি ছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে দেওয়া হয়েছিল জাতীয় বীরের সম্মান। তার কুদস বাহিনী দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনির কাছে সরাসরি জবাবদিহিতা করে। খামেনির পর জেনারেল সোলেইমানিকেি ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো।

সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের সম্পর্কে নতুন অস্থিরতা এবং বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় নতুন মাত্রা দেবে বলেই বিশ্বাস বিশ্লেষকদের। এ ঘটনায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, এই হামলা একটি হত্যাকাণ্ড। যুক্তরাষ্ট্র একটি উন্মত্ত পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছে। জেনারেল সোলেইমানি নিহত হওয়ার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি বলেন, সোলেইমানির হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি ভয়ানক ঘটনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top