সকল মেনু

নড়াইলে রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ৭দিনব্যাপি ‘সুলতান মেলা’

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চ চত্বরে শুরু হচ্ছে ৭দিনব্যাপী ‘সুলতান মেলা’।রোববার মেলা শুরু হলেও সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি।সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি হেলাল মাহমুদ শরীফ। সুলতান ফাউন্ডেনের সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু জানান,মেলাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।জেলা প্রশাসন ও  সুলতান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মেলার আয়োজন করেছে বলে তিনি জানান। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের পাঠানো তথ্য,ছবির ভিত্তিতে জানা যায় এবার সুলতান পদক পাচ্ছেন খ্যাতিসম্পন্ন  প্রবীণ চিত্রশিল্পী হাশেম খান । যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার এমপি মেলার সমাপনি দিন ২১ জানুয়ারি  বিকেলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এ পদক বিতরণ করবেন। সুলতান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ বলেন, মেলাকে ঘিরে গোটা শহরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে থাকছে চিত্র প্রদর্শনী,চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন ধরনের গ্রামীন ক্রীড়া উৎসবসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।এবারে নড়াইলের কৃতি সন্তান ডা: নীহার রঞ্জন গুপ্ত, চারণ কবি স¤্রাট একুশে পদক প্রাপ্ত কবিয়াল বিজয় সরকার, জারি স¤্রাট মোসলেম উদ্দিন, বীর শ্রেষ্ট নূর মোহম্মদ, সুরকার কমল দাস গুপ্ত ও চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের জীবন ও কর্ম নিয়ে সেমিনারে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে তিনি জানান।  এদিকে সপ্তাহব্যাপী সুলতান মেলাকে কেন্দ্র নড়াইলের সাংস্কৃতিক অঙ্গনগুলো জেগে উঠেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এখন রিহার্সেল নিয়ে দারুন ব্যস্ত। মেলায় গ্রামীণ কুঠির শিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ১০০টি ষ্টল বসেছে। শিল্পী সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯৯২ সাল থেকে সুলতান মেলা উদযাপিত হয়ে আসছে।

 

১০ আগষ্ট শিল্পীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ উৎসব পালিত হয়ে আসলেও বর্ষার কারনে ২০০৩ সাল থেকে মেলার দিনক্ষন পিছিয়ে যায়। বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান।১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিষ্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মননা পান।১৯৪৬ সালে ভারতের সিমলায় তাঁর একক চিত্র প্রদর্শনী,লাহোরে ১৯৪৮ সালে,করাচীতে ১৯৪৯ সালে, লন্ডনে ১৯৫০ সালে,বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে ১৯৭৬ সালে এবং ঢাকাস্থ জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ১৯৮৭ সালে তাঁর চিত্র প্রদর্শিত হয়।এছাড়া দেশ-বিদেশে বহুবার তাঁর ছবি প্রদর্শিত হয় যা সবার নজর কাড়ে। ১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর মহান এই শিল্পী দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভোগার পর যশোর সম্মিলিত হাসপাতালে শেষ-নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। সুলতানের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য তাঁর নিজ বাড়িতে নির্মিত হয়েছে এস এম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালা।# (ছবি সংযুক্ত)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top