সকল মেনু

গনধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

গনধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী ॥ পলাশে নারী শ্রমিককে গনধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল নরসিংদীর বিচারক (জেলাজজ) শামীম আহাম্মদ মঙ্গলবার বিকেলে এক জনাকীর্ন আদালতে সকল আসামীদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো পলাশ উপজেলার বাগপাড়ার মৃত কুদ্দুছ আলীর পুত্র আশিকুর রহমান (৩৫), তাজুল ইসলামের পুত্র ইলিয়াছ (২১), সিরাজ সেখের পুত্র রুমিন (২০), হানিফার পুত্র রবিন (২০), মন্টু মিয়ার পুত্র ইব্রাহিম (২২) ও ছালাম মিয়ার পুত্র আবদুর রহমান (২৪)।

মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করা সহ প্রত্যেককে আলাদা আলাদা ভাবে ১লাখ টাকা করে অর্থদন্ডে দন্ডিত করে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে প্রকাশ, প্রান আরএফএল কোম্পানীতে কর্মরত এক নারী শ্রমিক গত ২০১৩ সনের ২৩ মে বেলা আড়াইটায় কর্মস্থল থেকে কোম্পানীর নিজস্ব মেস পলাশ উপজেলার বাগপাড়া গ্রামের মুক্তা ভিলায় যাবার পথে জনতা জুটমিলের গেটের সামনে থেকে উল্লেখিত আসামিরা তাকে ধরে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। তারা নারী শ্রমিককে গনধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে তা ভিডিও ধারন করে আটকে রাখে। ঘটনার আধাঘন্টা পর ধর্ষনকারীরা তাকে ছেড়ে দেয়। পরের দিন ধর্ষিতা কোম্পানীর সিকিউরিটি সাকিলাকে সাথে নিয়ে প্রান আরএফএল কোম্পানীর সহকারী ব্যবস্থাপক এএসএম সাদেকুল ইসলামকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে তিনি বাদি হয়ে পলাশ থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশ থানার তৎকালীন উপ-পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব কুমার দত্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের আগষ্ট মাসে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ১২ স্বাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমানে তা সন্দেহাতিত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে এ রায় প্রদান করেন। আসামীরা ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে আপীল দায়ের করতে পারবে।

বাদি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডঃ কানিজ ফাতেমা, এডঃ এএন এম অলিউল্লাহ। আসামী পক্ষে ছিলেন এডঃ এমএ আউয়াল, একেএম মনিরুজ্জামান, এডঃ মাহমুদুল হক মিঠু।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top