সকল মেনু

অফিসে হিসাবরক্ষককে মারলেন কর্মকর্তা

indexনিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: হিসাব চাইতে গিয়ে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার মারধরের শিকার হয়েছেন জেলা অফিসের হিসাব রক্ষক । গতকাল রোববার  বিকেল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলা পরিষদের চতুর্থ তলায় মৎস্য অফিসারের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ব্যক্তিটি হলেন জেলা মৎস্য অফিসের হিসাবরক্ষক আঃ হামিদ।

জানা যায়, সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের কাছে একটি অডিট আপত্তির বিষয়ে কথা বলতে হিসাবরক্ষক আঃ হামিদ ঐ অফিসে আসেন। এ সময় হঠাৎ ফিরোজ আলম উত্তেজিত হয়ে আঃ হামিদকে মারধর শুরু করেন। মারতে-মারতে আঃ হামিদকে কক্ষের বাইরে নিয়ে আসেন ফিরোজ।

অফিসের লোকজনসহ তৃতীয় তলায় অবস্থানরত নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহে আসা সাংবাদিকরা গিয়ে আঃ হামিদকে রক্ষা করেন। মারধরে আঃ হামিদ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমপ্রাপ্ত হন এবং চশমা ভেঙে যায় ও জামা ছিড়ে যায়। পরে আঃ হামিদকে টেনে-হেচড়ে আবার মৎস্য কর্মকর্তার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়।

হামলার শিকার জেলা মৎস্য অফিসের হিসাবরক্ষক আঃ হামিদ বলেন, দাপ্তরিক কাজে ফিরোজ আলমের কাছে আসলে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করেন। মানসিক বিকারগ্রস্ত হিসেবে প্রায়’ই তিনি এ ধরনের কাজ করেন। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকলেও তিনি এসবের তোয়াক্কা করেন না।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আলম কোন কথা বলতে চাননি। তিনি বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শওকত কবির চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অনাকাক্সিক্ষত। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জেলেদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে অনিয়মের সুযোগ করে দেন। অভিযান চলাকালে গোপনে মাছ বিক্রিরও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।

এদিকে হিসাবরক্ষক আঃ হামিদ সম্পর্কে অফিসের লোকজন জানান, তিনি অত্যন্ত সজ্জন ব্যক্তি। তার সাথে এ ধরনের আচরণ দুঃখজনক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top