সকল মেনু

শবে মি’রাজ; বনি ইসরাইল,পারা ১৫, আয়াত ১ম, পৃষ্টা-৪৮৭

 ডা: জিএম ক্যাপ্টেন,কুড়িগ্রাম: সুবনাজাল্লাজি আসরা বিয়া’বদিহী লায়লাম মিনাল মাসজিদুল হারাম। আনুবাদে এসেছে আল্লাহ্ তা’য়ালা নিজ মহিমায় কালো রাত্রিতে তাঁহার হাবীবকে (মাহাম্মদ সঃ) মসজিদুল হারাম হইতে মসজিদুল আকসা পর্যন্ত করাইলেন। আইয়াতিনা ইন্নাহু হুওয়াস সামিউল বাছির তাহাকে আল্লাহর নিদর্শন সমূহ দেখানো হলো।  শবে মি’রাজ সংক্ষেপে নবী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিক আকাশ ভ্রমন বিশ্বের ইতিহাসে অন্য কোন নবী রসূল বা পয়গম্বর (সাঃ) কে আরশে আ’জিম আমন্ত্রন জানান নাই। কেবল মাত্র ছাইয়্যিদিনা নাবীয়ানা (হজরত মুহাম্মদ সঃ) কে স্ব-শরীরে আরশে আ’জিমে আল্লাহর সদর দপ্তর মি’রাজ বা স্বাক্ষৎকারে আমন্ত্রণ জানাইয়াছেন।  আল্লাহ তা’য়ালা তাঁহার হাবীবকে জ্ঞানে,বিজ্ঞানে, অবিস্কারে, শিক্ষা-দিক্ষা, রাষ্ট্র, সমাজ, জামাত, আইন, আদালতে বর্সবিশেষ সর্বগুনে জ্ঞানান্তির করে দিক দিগন্ত প্রসারী হিকমত দান করিয়াছেন। তাই মি’রাজ ভ্রমন করে বিশ্বের জ্ঞানী বিজ্ঞানকে জানিয়ে দিলেন যে, বাতাশের কানাচে (বোরক বা বারকুন বিদুৎ) এর ক্ষমতা আছে। আকাশের শক্তি আছে। তাই মানুষ বা বিজ্ঞানীরা ভাবতে শুরু করলেও গ্রহ নক্ষএগুলিতে যোগযোগ স্থাপন করলো। চন্ত্র অভিযান সফল করল। শ্রীমতি মুমিতা ইউলিয়াম ১৬৭ দিনে আকাশ থেকে পৃথিবী ছাড়াও আরও গ্রহ-উপগ্রহ আবিস্কার কররে আগামী প্রয়োজন মতে নতুন দিগন্ত সন্ধান দিল। নবুয়তের দশম বৎসর চাচা আবু জেহেলের মৃত্যু ঐ বৎসর খাদিজাতুল কুরবার ইন্তেকাল এবং তায়েফা ভ্রমনকারীদের সহিত নির্মম অত্যাচারে অত্যাচারিত হলে একটার পর একটা ভয়াহব বিপদে রসূল (সাঃ) ভরাক্রান্ত হইয়া দূর্বল হইয়া পড়িয়াছেন। সেই মহুর্তে আল্লাহ তাঁহার হাবীব কে নবুয়ত ও রেসালতের দিক দিগন্ত প্রসারি ইসলামী রাষ্ট পরিচালনা এর দায় দায়িত্ব ও প্রশাসন দানের ইচ্ছায় দিন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্জনে জ্ঞান অর্জনে জ্ঞান বিজ্ঞানের অত্য অবিস্কার দুনিয়া ও আখিরাতের চূড়ান্ত ফয়সালার জন্য আমন্ত্রন জানিয়েছেন। নবী জীবনের এই অলৌকিক আকাশ ভ্রমন কাহিনী বিশ্বের জ্ঞানী-বিজ্ঞানী সচেতন মানুষকে ভাবাতুর করে নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলিয়াছে। তাই আজ সাড়ে ১৪০০ বছর ধরে মানুষ ভাবতে শুরু করিয়াছে কিভাবে রক্তে মানুষের গড়া মাটির মানুষ স্ব-শরীরে আকাশ ভ্রমন করতে পারে। মানুষের প্রবনতমত জানা অজানার কৌতুহুল আজও শেষ হয় নাই। ঈদে মি’রাজুন নবী, নবী জীবনে অলৌকিক ভ্রমণ (২৭ বছর) দুনিয়ার সময় ১৭২ সেকেন্ট বা তিন মিনিট প্রমাণ করে দিয়েছে মানুস আকাশের আগনীয়গিরী ধ্বংশ করার মন্ত্র শিখিয়াছে। চন্দ্র অভিযান সফল করিয়াছে। (২০১৫ইং সালে চন্দ্র পৃষ্ট হইতে পৃথিবীর মধ্যে বিমাল চলাচল শুরু করবে) স্কাইলাব এর কাজ প্রায় শুরু করিয়াছে। হিজরি চন্দ্র মাসের ২৬শে রজব আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সাঃ) বিবি উম্মে হানির গরে মতান্তেরে হাতিমে শুয়ে ছিলেন। রাত্রি ১২টার পর ২৭ শে রজর হজরত জিব্রাঈল আমিন আল্লাহ রব্বুল আলামিন আল্লাহর আরস মহল্লায় আমন্ত্রন জানাইয়াছেন। আপনি আমন্ত্রিত। দীন দায়িত্ব্ পালন করিতে পারবেন কি না এ বিষয়ে তিনি চিন্তিত। কারন দ্বীণ পরিপূর্ণ করিতে আনেক বাকী আছে। এর মধ্যে আরস মহল্লায় আমন্ত্রন। তিনি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে প্রশ্ন করেন বন্ধু জিব্রাঈল কি আশ্চর্য এ আমন্ত্রন কিভাবে যাবা, কোথায় যানবাহন, কে দেখাবে পথ। বিজ্রাঈল আমিন বলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, ইয়া হাবিবুল্লাহ আপনি শান্ত হউন, আপনি আল্লাহর মেহেরবান আপনার যাবতীয় যাতাযাতের ব্যবস্থা আল্লাহ তায়ালা করে রেখেছেন। আপনার বোরখ বাড়ীর সামনে অপেক্ষা করিতেছে। আপনি ঊজু করে দু’রাকাত শুকরানা নামাজ আদায় করুন। আল্লাহর বনী আবে জমজম দ্বারা উজু বানাইলেন। দুই রাকতা শুকুরানা নামাজ আদায় করলেন এবং বোরখের পৃষ্ঠে সোয়ারী হইলেন (ইহা হইলো পৃষ্টে গদি আটা লাগাম বিশিষ্ট শেত কর্ণের সুন্দর জন্ত্র। এই জন্তর প্রতি সেকেন্ড সত্তর হাজার মাইল) আল্লার নবী সোয়ারী হইয়া বসার সঙ্গে সঙ্গে বোরখ বাইতুল মোকাদ্দেছ পৌছাইয়া দিল। তথায় তিনি ববর বাসীর পয়গস্বরদের মহিত আমন্ত্রণে শুভ বারতা প্রকাশ করিয়া পয়গস্বরদের সহিত মমতার বিনিময় করিয়া ঐখানে ঈমাম নিযুক্ত হইয়া দু রাকতা নামাজ আদায় করিয়া হুজুর (সাঃ) উর্দ্ধগমন বা আকাশ ভ্রমন শুরু করে। এক আসমানের দুরত্ব ৭০ হাজার বছরে পথ। প্রথম আসমানে অপেক্ষমান আল্লাহর আদি পিতা হযতর আদম (আঃ) প্রথম ফটক বা দরজা খুলিয়ে দেয়ার সাথে সাথে বেহেশত হতে লাখো লাখো হুর বালার উচ্চ স্বরে আল্লাহর রাসূলকে অবর্থনা জানালেন, খোঁজ আমদেদ হয়া রাসুলাল্লাহ্। মারহাবা ইয়া হাবিবাল্লাহ্ । আকাশ বাতাশ মুখোরিত হলো মনে হয় যেন যুগ যুগান্তরে আশা আকাঙ্খিত অজানা অতিথি শুভ আগমনে আসমান আগতের অদিবাসীরা আজ আনন্দে আত্যহারা। হজরত জিবরীল আমিন প্রথম আসমানে আল্লাহর নবীকে পরিচয় করিয়া দিনের ইই আদি পিতা আদম। আল্লাহর নবী আসাল জানালেন। সম্মানের সহিদ সালাম বিনিময় করিয়া আখেরাতি জীবনের মতামত ব্যাখ্যা করে এবং পরবর্তী দ্বিতীয় আসমানে হযরত ঈসা (আঃ) এবং তৃতীয় আসমানে হতরত ইউসুফ (আঃ) সপ্তম আসমানের হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সহিদ সাক্ষাৎ করিয়া বুকার ছিদরাতুল মুনতাহা পৌঁছাইয়া দিলে হযরত জিবরীল আমিন এখানে হইতে বিদায় হইলেন। আল্লাহর নবী পরবর্তী যান বাহন রফরফে ছোয়ারী হইয়া মহুর্তের মধ্যে আরশে আ’যিমে পৌঁচ্ছায়া ৭০ হাজার পর্দা অনুরুপ দুরবর্তী আড়াল থেকে অতীব ও সম্মানের সহিত “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি আসসালাতু আত্তাইয়্যিবাতু” হে আল্লাহ্ আমার এবং উর্দ্ধতন ও অর্ধস্থান সকল বান্দা বান্দির মৌখিক ও শারিরীক এবং অর্থিক যাবতীয় ইবাদত আল্লাহর জন্য। ইয়া আমার অমন্ত্রনের নজরানা হিসাবে কবুল ও মঞ্জুর কর। আল্লাহ্ রব্বুল আলামিন অনুরুপ দুরবর্তী পর্দার আড়ালে থেকে কুদরতি জবারতি জনাবে উত্তর দেয় “আসসালামু আলাইকা ইয়া আইযুহান নাব্যিয়ু রাহমাতুল্লাহ ওয়া বারতাতুল”=হে আমার হাবীর আমার দোস্ত আপনার উপর অল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত শাস্তি বর্ষিত হোক। পরের আয়াতে “আসসালাম্ আলাইন আ’লা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন”= অনুরুপভাবে তোমার অনুসারী বা উম্মত এর উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও শান্তি বর্ষিত হোক।

সমর্থিত হাদীস গ্রস্থ এবং অসিমির্থিত হাদীস দ্বারা মি’রাজের বিষয় কিছু নান যায়। অনেকে ইসলামী চিন্তাবিদ লিখিয়াছেন যে, ২৭টি বছর আল্লাহ এবং আল্লাহর রসূর কুদরতী ময়দানে দুনিযা এবং আখেরাত উম্মতে ঈসা উম্মেতে মুসা উম্মেত ইব্রাহীম । সকল উম্মতগণ নবী রসূল পয়গন্বরগণের দুনিয়ার যারা এসেছিলো এবং আগামী প্রজন্মে যারা আসবে তাদের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য ৩০ হাজারের উর্দ্ধে কালাম বিনিময় করিয়াছেন। কিন্তু উপরের সংখ্য কোন সমর্থন নাই। আর কলবর বাড়াতে চাই না। আগামী সোমবার ২৬শে রজব দিবাগত মধ্যরাত মি’রাজ সংগঠিত হয়েছিল। তাই এ রাত্রিতে এক্ষং পরদিন ২৭ শে র’জব যদিন নফল রোজা ও নফল ইবাদত ৬০ বছরে ইবাদতের সামন। তাছাড়া নবী। জীবন শুধু অধাতিক নয় যরা জ্ঞান-জিজ্ঞানে রিসার্চ ও অধ্যয়ন করেন। তেনাদের জন্য নবী জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারন বড় বড় বিজ্ঞানীরা স্বীকার করিয়াছেন আল্লাহর নবী পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top