সকল মেনু

সদরঘাটে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই

ফাইল ছবি

ঈদের বাকি আর মাত্র চার দিন। ঈদের আগে আজ বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস।  কোনোভাবে অফিস ম্যানেজ করে অনেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু  করেছে। ফলে লঞ্চ টার্মিনালসহ সর্বত্রই ঘরমুখী মানুষের উপচেপড়া ভিড়। বিশেষ করে বিকাল থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তিল ধরার ঠাঁই নেই। রীতিমতো জনস্রোত। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, শরীয়তপুর ও চাঁদপুরগামী লঞ্চ ছেড়ে যায়। বিকালে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরজমিন ঘুরে দেখার জন্য টার্মিনালে যান আইজিপি। তিনি লঞ্চযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ খবর নেন। লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হওয়ার জন্য দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

লঞ্চের ডেকে বসে টিকিট দেয়ার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছিলেন ঢাকা-বরিশালগামী পারাবত-২ এর ম্যানেজার মো. সুমন খাঁ। টিকিট দেয়ার এক ফাঁকেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগেই কেবিনের অগ্রিম টিকিট দেয়া শেষ হয়েছে। কোনো কেবিন ফাঁকা নেই। এখন যে টিকিট কাটা হচ্ছে তা সবই ডেকের টিকিট।’

যাত্রীদের চাপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ম্যানেজার সুমন বলেন, ‘আজকে চাকরিজীবীদের শেষ কার্যদিবস, তাই অনেকে অফিস শেষ করেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। অন্য বারের চেয়ে এবার যাত্রীদের চাপ একটু বেশিই মনে হচ্ছে।’ অতিরিক্ত যাত্রী তুলছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেয়া সংখ্যার চেয়ে বেশি যাত্রী নেয়া হচ্ছে না।’

চাঁদপুরগামী লঞ্চ ইমাম হাসান-২ এর ম্যানেজার আহমেদের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আজ যাত্রীদের প্রচুর ভিড়।  ঈদের আনন্দ শেয়ার করার জন্য বেশিরভাগ যাত্রীই আজ বাড়ি যাচ্ছেন। তবে ভিড় আগামীকালও থাকবে। কমবেশি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত  ভিড় লেগেই থাকবে।’

বরিশাল যাচ্ছিলেন আতিকুল ইসলাম। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি মুলত আগামীকাল(শুক্রবার) থেকেই শুরু। তবে আজ অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা হয়েছি। টার্মিনালে এসে দেখি রাজ্যের মানুষ এখানে ভিড় করেছে। তবুও বাড়ি যাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য এই কষ্টকে কষ্ট মনে হয় না। তবে ভাবছিলাম আগামীকাল ভিড় বেশি হবে। তাই ভিড় এড়ানোর জন্য আগেভাবে রওয়ানা দিয়েও ভিড় এড়াতে পারলাম আর কই।’

এদিকে সদরঘাট টার্মিনালে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় দুটি ধমীয় উৎসবের সময় যাত্রী চলাচল বেড়ে যায় টার্মিনাল দিয়ে। এসময় যাত্রী চলাচল, লঞ্চে ওঠা থেকে নামা পর্যন্ত নিরাপত্তা দিচ্ছে পুলিশ। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে কোন লঞ্চকে যেতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, যাত্রী নিরাপত্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কাবস্তায় রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top