ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে টিটির (টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার) মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য প্রাপ্তিতে নগদ সহায়তা দেওয়া যাবে।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, টিটির মাধ্যমে অগ্রিম মূল্য পরিশোধের শর্তটি রফতানি ঋণপত্র বা চুক্তিপত্রে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। মূল্যপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রফতানি পণ্যের সঠিক মূল্য ও পরিমাণ এবং বিদেশি ক্রেতার যথার্থতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো অথবা বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস্ অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন অথবা লেদারগুডস্ অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিশেয়শন থেকে প্রত্যয়ন সনদ নিতে হবে।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, অগ্রিম টিটি পদ্ধতিতে চামড়া ও চামড়া জাতীয় পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পরিশোধের ক্ষেত্রে লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনও প্রত্যায়ন সনদ ইস্যু করতে পারবে।
দেশের পণ্য রফতানিকে উৎসাহিত করতে সরকার অন্যান্য বছরের মত চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরেরও কতিপয় পণ্য রফতানি খাতে রফতানি ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বছর ১৪টি রফতানি খাতে নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সর্বনি¤œ ৩ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থবছরের শুরু ১ জুলাই থেকে আগামী ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুযোগ অব্যাহত থাকবে। এরমধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে সাড়ে ১২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৫ শতাংশ।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।