ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : মৎস্য ও প্রানীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক বলেছেন, কোরবানীর হাটে গরুর কোন সংকট থাকবে না। নিরাপদ মাংস নিশ্চিতকরণে সারাদেশের প্রতিটি হাটে ভেটেরিনারী মেডিকেল টিম সেবা প্রদান করবে।
দেশের মানুষ আসন্ন ঈদ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সে লক্ষ্যে পশুর হাটগুলোতে সার্ভিলেন্স টিম কাজ করছে।
তিনি আজ রাজধানীর খামার বাড়ির কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটে ‘নিরাপদ মাংস উৎপাদন নিশ্চিতকরণে প্রাণী সম্পদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে খামারী পর্যায়ে সারাদেশে কোরবানী উপযোগী ৪০ লাখ গরু ও ৬৯ লাখ ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। কোরবানীর জন্য গরু ও ছাগলের কোন সংকট হবে না।
প্রাণী সম্পদ অধিদফতর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ কোর্ডিনেশন কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ অজয় কুমার রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশননের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন দীপন কুমার সাহা, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রফিকুল ইসলাম,মন্ত্রণালয়ের সচিব শেলীনা আফরোজা প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, অসাধু উপায়ে কেউ গরু মোটাতাজাকরণ করতে না পারে সে জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতররের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
গরু মোটাতাজাকরণ করতে স্টেরয়েড হরমোন প্রয়োগ করে কেউ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৪৯টি হাটে ভেটেরিনারি চিকিৎসক দল সেবা প্রদান করবেন।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত খামারীরা নিরাপদ মাংস নিশ্চিকরণে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে গোমাংসের চাহিদা বাড়ছে। দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণে গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন অত্যান্ত জরুরী। এর উন্নয়নে প্রয়োজন প্রযুক্তি কৃত্রিম প্রজনন।
কৃত্রিম প্রজনন সেবা দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে দিতে এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শতকরা ৫ ভাগ সুদে ব্যক্তি পর্যায়ে ও ক্ষুদ্র খামারী পর্যায়ে ঋণ প্রদানের জন্য ২০০ কোটি টাকার তহবিল দেয়া হয়েছে।
দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রাণীসম্পদের সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চীফ ভেটেনারী অফিসার ডা.এ বি এম শহীদুল্লাহ।
বক্তারা অনুষ্ঠানে প্রতি উপজেলায় প্রাণিসম্পদ সর্ম্পর্কিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্মাণ, গবাদি পশুর খুরা রোগসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নানা ধরনের টিকা প্রদানের ব্যবস্থা, মাঠপর্যায়ে কৃষকদের মান উন্নয়নে নানা প্রশিক্ষণপ্রদানের বিষয় তুলে ধরেন।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।