সকল মেনু

সামাজিক ও রাজনৈতক অঙ্গনে প্রতিবাদের ঝড়ঃ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, দৃঢ় অবস্থানে সরকার

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, দৃঢ় অবস্থানে সরকার
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, দৃঢ় অবস্থানে সরকার

০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ :  চলতি মাস থেকে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে দেশ জুড়ে সামাজিক ও রাজনৈতক অঙ্গনে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এর পরেও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে সরকার। সরকার ও তাঁর দলের মধ্যে থেকে অনেকেই বিরোধী অবস্থানকে আত্মঘাতী বলেও ঘোষণা করেছেন।

কোন ধরনের আন্দোলন হুমকিতে এই মূল্যবৃদ্ধি আটকাবে না। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারেই পরিস্কার। সরকারে পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অবকাঠামো গত উন্নয়ন ও উৎপাদন ও বণ্টনে মূল্য সমন্বয় সাধনের জন্যই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অতিরিক্ত খরচের বিষয়টি কতটা আমলে নেওয়া হয়েছে? সম্প্রতি কালে সরকারে উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের মুখে জানান, এই মূল্যবৃদ্ধি জনসাধারণের উপর ততটা প্রভাব ফেলবে না। গণপরিবহনের ভাড়াও বাড়বে না।

এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১, সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, ‘এখনও সিএনজি চালিত পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগের নির্ধারিত ভাড়া নিতে হবে। কেউ যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে বাস্তব অবস্থা ভিন্নরূপ দেখা যায়, অনেক গণপরিবহনেই নেওয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া। আর অন্য দিকে মন্ত্রী নিজেও ভাড়া বৃদ্ধি হবে না এমন কোন বিষয় স্পষ্ট করেন নি। গণপরিবহনের ভাড়া সমন্বয় সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশের জন্য অপেক্ষা করছেন মন্ত্রী কিন্তু বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে সরকার তার সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছে এমনটাই আভাস পাওয়া যার মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে।

এদিকে সরকারে এই সিদ্ধান্তকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে এই বর্ধিত মূল্যের বিরুদ্ধে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। আগামী শনিবার সারাদেশে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। এছাড়াও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাসদসহ সকল বাম দলগুলো। ইতোমধ্যে সারাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিও পালন করেছে তাঁরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সাম্যবাদী দলের প্রধান সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়া দলীয় কার্যালয়ে মূল্য বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং জাতীয় স্বার্থে পক্ষে সহায়ক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। ‘জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উৎপাদিত পণ্যের প্রতিযোগিতামূলক বাজার সংকুচিত হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো বন্ধ হবার হুমকিতে পড়বে। ফলে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে।’

উল্লেখ্য, গত ২৭ অগাস্ট গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং বিদ্যুতের দাম গড়ে ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। এক দিকে সরকারের এই দৃঢ় অবস্থান অন্য দিকে বিরোধীদলগুলোর গণআন্দোলনের ডাক সরকারকে কিছুটা হলেও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top