০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ,শফিক আহমেদ সাজীব : বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু মামলা-মোকদ্দমার সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি কৌঁসুলি, প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এলিট ফোর্সসহ বিভিন্ন সংস্থাকে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক মানসিকতা নিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে হবে।
আমাদের সমস্যা হচ্ছে- আমরা একে অপরকে এবং এক সংস্থা অন্য সংস্থাকে দোষারোপ করি। দোষারোপের মন-মানসিকতা পরিহার করে আমি নিজে কী করছি, মানুষের জন্য কতটুকু কাজ করছি, এ মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
পুলিশ বিভাগ বা অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থা যদি মামলা তদন্তে আমাদের সঠিকভাবে সহায়তা না করে তবে বিচার বিভাগের একার পক্ষে সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না।
আবার আইনজীবীরাও যদি সহায়তা না করে সেক্ষেত্রেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিরাট প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। তাই একটি সুন্দর কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করতে হলে সব সংস্থাসহ সকলকে একযোগে কাজ করে ন্যায়বিচার বা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে দেশ একটি উন্নত কল্যাণকামী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ কনফারেন্স কক্ষে জুডিসিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ও সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নওরীন আক্তার কাঁকনের সঞ্চালনায় এ জুডিসিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে কর্মরত সকল বিচারক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বলতে গেলে বিচার বিভাগকে আলাদা করা যায় না। তিনি বলেন কল্যাণ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য ফরাসি দার্শনিক মতেঁস্কো বলে গেছেন, যা এ যুগেও বাস্তব। রাষ্ট্রের তিনটি বিভাগ পৃথক হলেও সকলের উদ্দেশ্য এক ।
জনগণের কল্যাণ করা। আর এ লক্ষ্যে পারস্পরিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করে সহযোগিতামূলক মানসিকতায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, এদেশ আমাদের। আমরা সবাই এ দেশেরই নাগরিক। এদেশের মানুষের দুর্ভোগ হলে তা আমাদের কারো না কারো আত্মীয়, ভাই, বন্ধু অধিকন্তু আমার দেশের নাগরিক।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর দায়রা জজ শাহে নুর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল -১ এর জজ মো. রেজাউল করিম, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সী মো. মশিউর রহমান, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহাজাহান কবির, বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মুজিবুল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. এনামুল হক, মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী, জেলা জিপি মো. নাজমুল আহসান খান আলমগীর, জেলা পিপি মো. আবুল হাশেম,পুলিশের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল গণি, র্যাব -৭ এর অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দিন,চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার, সিভিল সার্জন মো. আবদুল আজিজ। অনুষ্ঠান শেষে বিচারকবৃন্দসহ উপস্থিত সকলে প্রধান বিচারপতির সাথে নৈশভোজে মিলিত হন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।