মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী ০২ সেপ্টেম্বর: তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টির কারণে মঙ্গলবার সকাল থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার (৫২দশমিক৪০) ৩০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত সোমবার এই পয়েন্টে তিস্তার পানি ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। ফলে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার পানি কমলে গত দুইদিনের ৪৮ ঘন্টা ধরে বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে রয়েছে জেলার ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ছয় ইউনিয়নের তিস্তা অববাহিকার ২৫টি চর ও গ্রাম নিন্মাঞ্চলের প্রায় দশ হাজার পরিবার। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগীতার জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ১৩ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানান জেলা ত্রান কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক জাকীর হোসেন ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়িতে বন্যা কবলিত পরিবার গুলোর মাঝে ১০ কেজি করে চাল ,নগদ ৫শত করে টাকা ও শুকনো খাবার হিসাবে চিড়া মুড়ি ও গুড় বিতরন করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবকটি জলকপাট উন্মুক্ত করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী সুরত উজ জামান বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির প্রভাবে তিস্তার নিন্মাঞ্চলগুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়ায় ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী, পুর্ব ছাতনাই, নাউতারা, টেপাখড়ি বাড়ি, গয়া বাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ও শৌলমারী ইউনিয়নের দশ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়ে রয়েছেন।
ডিমলা খালিশা চাপানি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাতনাই চরের তমসের আলী জানান, বাড়ির ভেতর পানি প্রবেশ করায় দু’দিন থেকে ভোগান্তিতে রয়েছি আমরা। রান্না ঘরে চুলোতে পানি জমে যাওয়ায় মুড়ি চিড়া খেয়ে দিন কাটছে পরিবারের সদস্যদের।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।