সকল মেনু

নীলফামারী পরিবার পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্তদের ভারে ভারাক্রান্ত

mail.google.com মো. আমিরুজ্জামান, নীলফামারী ২৩ জুলাই : ভারপ্রাপ্ত আর অবসরে যাওয়া চিকিৎসক দিয়ে চলছে নীলফামারী জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। জেলার ছয়টি উপজেলায় মেডিক্যাল অফিসারের সৃষ্ট ১১টি পদের মধ্যে ১০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় মাঠ পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠি তাদের কাঙ্ঘিত সেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত হচ্ছে। নীলফামারীর ছয়টি উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা অফিসের ক্লিনিক্যাল বিভাগে মেডিকেল অফিসারের (এমসিএইচ-এফপি) ১১টি সৃষ্ট পদ থাকলেও বর্তমানে সৈয়দপুর উপজেলায় মাত্র একজন মেডিকেল অফিসার কর্মরত রয়েছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনসহ স্বাস্থ্য সেবার মান নিশ্চিত করতে মেডিকেল অফিসারগন স্ব-স্ব দপ্তরে বসে দাপ্তরিক কাজ এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম মনিটরিং করে থাকেন।

দীর্ঘদিন এসব গুরত্বপূর্ন পদগুলো শূন্য থাকায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদশিকা গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। সম্প্রতি অবসরে যাওয়া মেডিকেল অফিসারদের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে একদিন স্থায়ী পদ্ধতি ও ইমপ্লানন পদ্ধতির সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হলেও ইউনিয়নের দম্পতিরা পদ্ধতি গ্রহণের পরবর্তীতে শারিরীক সমস্যার সম্মুখিন হলেও তারা চিকিৎসক অভাবে তাদের কাঙ্ঘিত সেবা পাচ্ছেন না। বছরের বিভিন্ন সময় সরকারের দেয়া সেবামূলক কর্মসূচীগুলো মেডিকেল অফিসারের অভাবে দায়সারাভাবে পালিত হচ্ছে। এছাড়া উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক (সিসি), উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারসহ অনুমোদিত ৫২টি পদের ৩২টি পদ, ফার্মাসিস্টের অনুমোদিত ৫২টি পদের ৫০টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। চিকিৎসক না হয়েও মেডিকেল অফিসারের শূন্য পদে দায়িত্ব পালন করছে স্ব -স্ব উপজেলার উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগন।

গত সাত বছরের অধিক সময় ধরে একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নীলফামারী উপ-পরিচালকের পদটি দখলে রেখেছেন। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ গোটা জেলায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন ও স্বাস্থ্য সেবার মান মুখ থুবড়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আফরোজা বেগম বলেন, চিকিৎসকের শুন্যপদ পুরনে স্থানীয় এমপি ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা হয়েছে। এ পর্যন্ত শুন্যপদগুলো পুরনের কোন পদক্ষেপ নেয়নি মন্ত্রনালয়। এ ছাড়াও উপ-পরিচালকের পদে আমি গত সাত বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছি। অতীব গুরুত্বপুর্ন এ পদটি চালানো আমার পক্ষে দুরহ হয়ে পড়েছে। এ পদে একজন পুর্নাঙ্গ কর্মকর্তা দেয়া হলে সেবার মান বাড়বে বলে আমি মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top