নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙ্গা গ্রামে ঘাতক জামাইর হাতে কৃষক শ্বশুড় ইকবাল হোসেন (৪৮), শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগম (৪৩) নিহত এবং স্ত্রী শারমিন আক্তার (২২) গুরুতর আহত হয়েছে। ঘাতক সুমন শেখ ঘটনা ঘটিয়েই পালিয়ে যায়। পুলিশ ও এলাকার মানুষ জানায়, পাঁচ বছর আগে ওই গ্রামের শারমিনের সাথে বরিশালের সুমন শেখের প্রেমের পরিনতিতে বিয়ে হয়। শারমিনের এক বোন বরিশাল থাকতো এবং সেই সুবাদেই তার সাথে সুমনের পরিচয় ও পরে পরিণয় ঘটে। বিয়ের পর দেখা যায়, সুমন বখাটে এবং বেকার। সে কারণে অকারণে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করতো। এর ভেতর তাদের ঘরে আসে একটি মেয়ে শিশু। তার বয়স তিন বছর। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শারমিন বাপের বাড়িতে চলে আসে এবং স্বামীকে তালাক দেবার প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু সুমন তাতে সম্মত ছিল না। গতকাল রোববার রাতে সুমন বরিশাল থেকে শ্বশুর বাড়িতে আসে এবং তালাকের বিষয় নিয়ে শ্বশুর-শ্বশুড়ি ও স্ত্রীর সাথে তর্কে লিপ্ত হয়। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে উত্তেজিত সুমন একটি ধারালো কিরিচ দিয়ে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কোপায়। ফলে ঘটনাস্থলেই তার শ্বশুর মারা যায়। এসময় আহতদের চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন দৌঁড়ে আসলে ঘাতক সুমন পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শ্বাশুড়িকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কুমিল্লা নেবার পথে শ্বাশুড়িও আজ সোমবার সকালের দিকে মারা যায়। শারমিনকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। থবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।