জেলা প্রতিনিধি,ফেনী: দাগনভূঞায় জামায়াত নেতা কামারুজ্জমানের গায়েবানা জানাজা পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ। পরে ঘটনাস্থল ও আশপাশ থেকে উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ ১৫০ জনকে আটক করে পুলিশ। এর আগে অন্তত ২০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমান উল্যাহপুর গ্রামের আশরাফুল উলুম মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে রাত ৯টা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৫০ জনকে আটক করেছে।

আটকের বিষয়টি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে নিশ্চিত করেছেন দাগনভূঞা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ও সেকেন্ড অফিসার পায়েল হোসেন।

এ ব্যাপারে পুলিশ বলছে, সোমবার হরতালে নাশকতার প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে জামায়াত নেতা কামারুজ্জমানের গায়েবানা জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছিল উপজেলা জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা আসরের নামাজ পড়ে জানাজার প্রস্তুতি নিলে উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন ও ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন মামুনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ৯টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ১৫০ নেতাকর্মীকে আটক করে।

এদিকে পুলিশ আসার আগে আওয়ামী লীগ-যুবলীগের হামলায় জামায়াত-শিবিরের অন্তত ২০ জন আহত হয়। তারা গোপনে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আহতদের বেশিরভাগই মাথায় আঘাত রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক  জানান, সোমবার হরতালে নাশকতার প্রস্তুতি নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।