ইকবাল হোসেন, রংপুর : রংপুরে দুধের দাম কম হওয়ায় খামারিরা দুধ ঢেলে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। রোববার নগরীর সাতমাথা এলাকায় রংপুর দুগ্ধ উৎপাদনকারি সমিতি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ব্যবসায়ীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুর দুগ্ধ উৎপাদনকারি সমিতির উদ্যোগে খামারিরা রংপুর-কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট সড়কে ২০০ লিটার দুখ ঢেলে সড়ক অবরোধ করে। এরপর সেখানে আধাঘন্টার মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রংপুর দুগ্ধ উৎপাদনকারি সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবলু। বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারন সম্পাদক মেছের আলী, খামারি খালেদুর রহমান শাহীন, আবদুল লতিফ সরকার, আনোয়ার হোসেন আনু, তৌফিকুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, হরতাল ও অবরোধের নামে পশু খাদ্যের দাম বস্তা প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বৃদ্ধি করেছে ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ৩৫ কেজির ভূষির বস্তা ছিল ৭০০ টাকা । সে ভূষির বস্তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা। একই ভাবে অন্যান্য পশু খাদ্যের দামও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে দুধের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। দুধের দাম লিটার প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কমানো হয়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ টাকা লিটারের দুধ এখন ৩৫ টাকা লিটার দরে নেওয়া হচ্ছে খামারিদের কাছে। এতে করে খামারিরা লোকসান গুনছেন। অবিলম্বে দুধের দাম বৃদ্ধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাবার হুমকি দেন তারা। লোকসানের কারণে অনেকে কমদামে গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রাণ, মিল্কভিটা, ব্র্যাকসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি খামারিদের কাছ থেকে দুধ ক্রয় করে থাকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতমাথা এলাকায় দুধ ক্রয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, হরতাল ও অবরোধের কারণে পুলিশ প্রহরায় দুধ নিয়ে যেতে গাড়ি ভাড়া বেশি দিতে হয়। এ কারণে দুধের দাম কিছুটা কম নেওয়া হচ্ছে। তবে তিনি জানান, এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
রংপুর দুগ্ধ উৎপাদনকারি সমিতি সুত্রে জানা গেছে, জেলায় ১ হাজারের বেশি গরুর খামার রয়েছে। আর এসব খামারে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ হাজার লিটার দুধ পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।