সকল মেনু

বোমা মেরে যেসব দানবরা মানুষ হত্যা করে তাদের নির্মুল করতে হবে : রংপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রী

shah_jahan_khanইকবাল হোসেন, রংপুর প্রতিনিধি : নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি বলেছেন, দানবের সাথে মানবের কখনো প্রেম হয় না। পেট্রোল বোমা মেরে যারা মানুষকে পুড়িয়ে মারে তাদের নির্মুল করতে হবে। ৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধিরাই জঙ্গি রুপে এসব নাশকতা চালাচ্ছে। তিনি শুক্রবার রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় মালিক -শ্রমিক সড়ক পরিবহন নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মানুষ হত্যা করা কোন ধর্মে নেই। বিএনপি মানুষ হত্যা করে পুড়িয়ে মেরে সে রক্তের সিড়ি বেয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। তাদের সে আশা কখনো পুরন হবে না। তিনি বলেন, অঅমরা বিশ্বাস করি রাষ্ট্র ক্ষমতার পালা বদল হতেই পারে। কিন্তু যারা মানুষ পুড়িয়ে জঙ্গিবাদ কায়েম করতে চায় তাদের হাতে আমরা ক্ষমতা ছেড়ে দিতে পারি না। জনগন তাদের পক্ষে কখনো সায় দিবে না। দেশ স্বাধীনের সময় যারা বিরোধিতা করেছে সেই ৭১ সালের পেতাত্তারাই আজ হরতাল অবরোধোর নামে মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। কি বর্বর জঘন্য কাজ করছে তারা। মন্ত্রী বলেন, ৪০দিনে তারা ৬০ চালক ও হেলপারকে পুড়িয়ে মেরেছে। ৫ হাজার গাড়িতে আগুন দিয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, শ্রমিক-মালিক সাধারন জনগনকে সাথে নিয়ে প্রশাসনের সহায়তায় দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে পরিবহন সেক্টরে আঘাত হানে। ঢাকা বিএনপির  আহবায়ক মির্জা আব্বাস ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় তাদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে পরিবহন সেক্টর দখল করে নিয়ে সাধারন শ্রমিকদের হত্যা করেছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস মালিক এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপুরণের জন্য এরই মধ্যে সাড়ে ৬ কোটিও বেশি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা এখানে এসেছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, যেসব স্থানে আমাদের গাড়ি পোড়ানো, ভাংচুর এবং শ্রমিকদের পুড়িয়ে মারা হবে সেসব এলাকার বিএনপিনেতাদের বাড়িঘরে হামলা হবে এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা তো রাজনীতি করি না। তাহলে আমাদের উপর হামলা করা হচ্ছে কেন। তিনি আরো বলেন, যানবাহনে হামলার ঘটনায় যদি প্রশাসন কোন ধরনের সহযোগিতা না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাঙ্গা বলেন, বিএনপিনেতাদের যানবাহন এখন যদি রাস্তায় চলাচল না করে তাহলে পরবর্তীতে তাদের গাড়ি রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না।  তিনি প্রতিটি গাড়িতে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র এবং জানালায় মোটা পর্দা লাগানোর আহবান জানান। সেই সাথে বলেন কিছুদিনের মধ্যেই রাতেও গাড়ি চলাচল করবে।
প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা আরো বলেন, রংপুরে ১৫ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তারা প্রশাসনের সাথে থেকে সহযোগিতা করবে। তিনি বলেন, বিএনপি এখন বড় দল নয়, তারা লয়ার দল। রাঙ্গা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রমিক এবং মালিকদের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। কারণ তিনি এরই মধ্যে ক্ষতিপুরণের টাকা দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মদ-এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশনার দিলোয়ার বখত, ডিআইজি হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার আবদুর রাজ্জাক, রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক রাজু আহমেদ, দিনাজপুরের ভবানি শংকর আগরওয়ালা, গাইবান্ধার কাজী মকবুল হোসেন মুকুল, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলীসহ বিভাগের ৮ জেলার মোটর ও মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top