বরিশাল প্রতিনিধি : প্রতিষ্ঠার প্রায় ৫ দশক হতে চলল কিন্তু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই বার্ন ইউনিট। দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা হয় তাই সার্জারি ইউনিটে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন বরিশাল অঞ্চলের আগুনে দগ্ধ রোগীরা।
আর হাসপাতালের পরিচালক বলছেন, বার্ন ইউনিট হলে আরও উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৮ সালে। ৬টি বিভাগ ও ১৩টি ইউনিট ছিল তখন। এখন বিভাগ ১২টি ও ইউনিট ৪০টি। কিন্তু আজও হয়নি বার্ন ইউনিট। দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা হয় সার্জারি ইউনিটেই। উন্নত চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিট থাকা উচিত বলে মনে করেন রোগীর স্বজনরা।
রোগীর স্বজনেরা জানান, বর্তমানে এখানে যে পরিমাণে দগ্ধ রোগী আসছে সেই পরিমাণে এখানে কোনো উন্নত মানের চিকিৎসা নেই বলে জানায় তারা।
এদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. মোঃ. জহুরুল হক বলেন, একসাথে বেশি দগ্ধ রোগী এলে হিমশিম খেতে হয়।
তিনি আরো বলেন, দগ্ধ রোগীর চিকিৎসার জন্য যেসব ডাক্তারি জিনিস দরকার তা এই হাসপাতালে নেই।
আর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মু. কামরুল হাসান বলেন, বার্ন ইউনিট হলে চিকিৎসা হবে আরও উন্নত।
বছরে গড়ে দেড়’শ থেকে দু’শ আগুনে দগ্ধ রোগী চিকিৎসা নেয় এই হাসপাতালে। এর মধ্যে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসেই রোগীর চাপ থাকে বেশি।
১০/১২ জেলার মানুষের চিকিৎসার ভরসা হল বরিশালের এই শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। নানা কারণে দিন দিন দগ্ধ রোগীদের সংখ্যা বাড়ছেই। আর এখানে এজন্য প্রয়োজন একটি পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট। আর এতে উপকৃত হবেন এ অঞ্চলের রোগীরা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।