রোমান শেখ, চট্টগ্রাম : দেশে আসা ভারতের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে (এনআইএ) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামের সাত শীর্ষ সন্ত্রাসী। এসব সাত শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে রয়েছে আওয়ামীলীগের চারজন, বিএনপি’র দুই জন এবং জামায়াত-শিবিরের একজন। তবে এনআইএ-কে দেওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীর যে তালিকা দেওয়া হয়েছে তা গত ১০ বছরের চেয়েও পুরানো তালিকা। এসব তালিকায় নেই সাম্প্রতিক সময়ের চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম।
শীর্ষ সন্ত্রাসী ঐ তালিকায় রয়েছে আওয়ামীলীগের সুনীল কান্তি দে, মশিউর রহমান দিদার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম আবু তৈয়ব ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মামুন।
বিএনপি’র রয়েছে মোর্শেদ খান ও এতিম আলম এবং জামায়াত-শিবিরের এক সময়ের চট্টগ্রামে দূর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এনআইএ-কে মহাপরিচালকের হাতে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে তালিকাটি দেওয়া হয়।
এতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত এসব সন্ত্রাসীরা ভারতে পলাতক এবং কেউ কেউ ঐদেশের কারাগারে আটক রয়েছে। অথচ তালিকার মাত্র একজন ছাড়া সবাই চট্টগ্রামে অবস্থান করাসহ ভারতে আসা-যাওয়া করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চট্টগ্রাম।
তালিকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুলীন কান্তি দে ভারত থেকে প্রায়ই চট্টগ্রামে আসা-যাওয়া করেন। নগরীর খুলশি এলাকায় এখনো সক্রিয় অবস্থায় অবস্থান করছে মশিউর রহমান দিদার। একইভাবে নগরীর বায়েজীদ বোস্তামী ও পাঁচলাইশ এলাকায় সক্রিয় রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এইচ এম আবু তৈয়ব। রয়েছে আওয়ামীলীগের অন্যতম আরেক সন্ত্রাসী সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ মামুন। যিনি সব সময়ই ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রামে আসা-যাওয়া করলেও সাবেক আরেক ছাত্রলীগ নেতা রাজিব দত্ত রিংকু নগরীতেই সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।
বিএনপি’র মধ্যে রয়েছে বাকলিয়া এলাকার এক সময়ে মূর্তিয়মান আতঙ্ক মোর্শেদ খান নগরীর মোমেন রোড এলাকার এতিম আলম। নগর ও দক্ষিন চট্টগ্রামে তাদের প্রকাশ্য বিচরন দেখা গেলেও পুলিশ বলছে তারা পলাতক রয়েছেন।
জামায়াত-শিবিরের মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বহদ্দার এলাকার ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে হত্যাসহ অস্ত্র ও চাঁদাবাজীর বেশ কয়েকটি মামলার আসামী সাজ্জাদ হোসেন। সাজ্জাদ বর্তমানে ভারতের একটি কারাগারে আটক রয়েছে। যদিও অজ্ঞাত কারনে সহসাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
তালিকা ছাড়াও চট্টগ্রামের আরও বড় সন্ত্রাসী রয়েছে যেখানে তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত হয়নি। এ বিষয়ে নগর পুলিশের বক্তব্য পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তালিকা হালনাগাদ চাওয়া হয়নি তাদের কাছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকা হালনাগাদ নেই। ২০০৯ সালের তালিকা দেখে তা দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।