দীর্ঘ ২৭ বছর হাফেজ্জী হুজুরের প্রতিষ্ঠিত খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন জাফরুল্লাহ খান। দলটি নারী নেতৃত্ব বিরোধী হওয়ায় কখনই বিএনপি বা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেনি। বৃহস্পতিবার রাতে কামারাঙ্গিচরের হাফেজ্জী হুজুর মাদরাসায় খেলাফতের সম্মেলন প্রস্ততি বৈঠক অনুষ্ঠিত। এতে নেতারা জাফরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেন। জাফরুল্লাহ খান সম্প্রতি সম্মিলিত ইসলামী দলসমমূহ নামে আট দলের একটি জোট গঠন করেন। এতে জামায়াতে সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। জামায়াতের সমর্থনে এ জোট গত ২৬ অক্টোবর হরতাল পালন করে। গোলাম আযমের জানাযাতেও অংশ নেন জাফরুল্লাহ খান।
জামায়াত রাজনৈতিকভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়ার পর থেকেই জাফরুল্লাহ খান জামায়াত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে কর্মসসূচি দিয়ে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। এতে জামায়াতে অংশগ্রহন ছিল বলেও অভিযোগ করেন খেলাফত নেতারা। খেলাফতকে জামায়াতের অঙ্গসংঠনে পরিণত করার অভিযোগ করার হয় তার বিরুদ্ধে।
খেলাফতের ঢাকা বিভাগীয় সমন্বকারী মাওলানা ফিরোজ আশরাফি সমকালকে বলেন, জাফরুল্লাহ খানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরেই জামায়াতের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। দলের নেতারা বারবার এ নীতি পরিবর্তন করার অনুরোধ করলেও তিনি তা রক্ষা করেননি। তাই সম্মিলিত সিদ্ধান্তে তার পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সম্পাদনায় / জীবন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।