সকল মেনু

মিজানুরের মরদেহ ফেরত দিল মিয়ানমার

 কক্সবাজার ও বান্দরবান প্রতিনিধি : বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের (সিপাহী নং- ৫৩৯৪৯) মরদেহ হস্তান্তর করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পাইনছড়িতে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয় মিজানুরের লাশ। নাইক্ষ্যংছড়ির ৩১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিকুর রহমান হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, শনিবার বিকেল পাঁচটায় বিজিবির তিন সদবিডি.কমকে স্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে যান। সেখানে আধাঘণ্টা পতাকা বৈঠকের পর নিহত বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত দেয় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরো জানান, নিহত বিজিবি সদস্যের মরদেহ বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ির পাইনছড়িতে ক্যাম্পে রয়েছে। সেখান থেকে আরো ৩ ঘণ্টা পর লেবুছড়ি ক্যাম্পে নেওয়া হবে। এরপর নাইক্ষ্যংছড়ির ৩১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নে আনা হবে।
এদিকে শুক্রবার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে গুলিবর্ষণের পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় গুলিবর্ষণের পর থেকে বিজিবি সদস্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানের নামে মিয়ানমার আগে থেকে সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে। তারা প্রায় প্রতিদিনই সীমান্ত এলাকার সন্নিকটে অভিযান পরিচালনা করছে। এতে করে সীমান্তে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি ৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শফিকুর রহমান জানান, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে সীমান্তের পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু শাফায়েত মো. শাহেদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত বসবাসরত স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। প্রশাসনের সর্বাক্ষনিক নজর রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে সকালে বিজিবির সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তের (নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে) ৫২ নম্বর পিলারের কাছে পাইনছড়ি এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের ১ নম্বর সেক্টরের ভেন্ডুলা বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) ফাঁড়ির সীমান্তরক্ষীরা বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি-সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। সে সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, ওই দিন দুপুরে মিয়ানমারে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হলে লাশটি সেখানকার সীমান্তের ১ নম্বর সেক্টরে নেওয়া হয়। এরপর বিজিপি সেখানে প্রচার করে যে গুলিতে আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশন) বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের এক সদস্য মারা গেছেন। মিয়ানমারের গণমাধ্যমও সে খবর ফলাও করে প্রচার করে।
কিন্তু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মিজানুর রহমানকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানালে পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। বিজিপি তখন লাশ ফেরত দিতে গড়িমসি করে। পরে শনিবার সন্ধ্যায় মিজানুরের মরদেহ ফেরত দেয় বিজিপি।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top