ক্যাম্পাস প্রতিবেদক, জবি, ২৮ এপ্রিল : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এমআই শিশিরের উপস্থিতিতে তরিকুল, রিশাদ, রুবেলসহ তার ১০-১২ জন কর্মী যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদের গ্রুপের কর্মী রাসেল ও শাহরিয়ারকে মারধর করে।
মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রহমান খান, জহির রায়হান আগুন ও উপ-প্রচার সম্পাদক আনিসুল তালুকদারের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক মহিউদ্দীনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় উপপ্রচার সম্পাদক আনিসুল তালুকদারকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, দুই সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রহমান খান ও জহির রায়হান আগুনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম আই শিশির বলেন, তরিকুল, রিশাদ ও রুবেল তার কর্মী নয়। ওরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত কর্মীরা ক্যাম্পাসে বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইলে তার কর্মীরা তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। দুই সাংগঠনিক সম্পাদককে শোকজ করা হয়েছে। তরিকুল, রুবেল ও রিশাদরা ছাত্রলীগ থেকে আজীবন বহিষ্কৃত। ফলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. অশোক কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্কা-২ বাসের আসন গ্রহণকে কেন্দ্র করে শিশির গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে হারুন গ্রুপের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।