সকল মেনু

দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক, ১৬ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বাংলাদেশে বর্তমান ১৬ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি। অর্থাৎ দেশের প্রায় ৭৩ শতাংশ মানুষই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর গত অর্থবছরের তুলনায় এ বছর গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১১ ভাগ। টেলিযোগাযোগ খাতের সাফল্য ও অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৮ বছরে শুধু মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যাই বাড়েনি, বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০০১-০২) থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪৮ লাখে, যা মোট জনসংখ্যার ৭২.৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ইন্টারনেট ব্যবহার করছে ৩ কোটি ৫৫ লাখ ২২ হাজার মানুষ।

শুধু তা-ই নয়, রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে বিটিআরসি উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠার সময় (২০০১-০২) থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত সর্বমোট ২৪ হাজার ৫৮৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে, যার মধ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৯৫৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির সফল ব্যবস্থাপনা এবং কার্যকর ভূমিকায় এমন সাফল্য ধরা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

প্রতিবেদন সূত্রে আরো জানা গেছে, টেলিযোগাযোগের বিভিন্ন সেবা সহজলভ্য, গণমুখী এবং প্রসারে বিটিআরসি ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ১৮৩৮টি লাইসেন্স ইস্যু করে, যার মধ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৮৪০টি ভিএসপি লাইসেন্সসহ মোট ৯২৪টি লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্স ২৯টি, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) লাইসেন্স ২৬টি এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) লাইসেন্স ৩৭টি ইস্যু করেছে বিটিআরসি। এর ফলে ইনকামিং কলের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

বিটিআরসি থেকে প্রাপ্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে ইনকামিং কলের পরিমাণ বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে। ২০১২ সালে দৈনিক গড় ইনকামিং কলের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৬৮ লাখ মিনিট। সেখানে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলের পরিমাণ বেড়ে দৈনিক গড় দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৪৫ লাখ।

থ্রিজি সেবার ব্যাপারে প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দেশের ৪টি মোবাইল ফোন অপারেটরকে লাইসেন্স দেয়ার মাধ্যমে থ্রিজি সেবা ছড়িয়ে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ২.১ গিগাহার্জ ব্যান্ডে প্রতিটি ৫ মেগাহার্জে মোট ৮টি ব্লক ৪টি মোবাইল অপারেটরকে দেয়ার মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, যদিও এর আগে ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে গ্রাহক পর্যায়ে শুধু টেলিটক এই সেবা দিয়ে আসছে, যা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

ইন্টারনেটের স্পিড বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রবণতা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এখন খুব সহজেই ই-ব্যাংকিং, ই-এডুকেশন, ই-হেলথ এবং ই-গভার্ন্যান্সসহ ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা নিতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল বিল বা কর্পোরেটের ক্ষেত্রে বলা হয়, বর্তমানে মোবাইল ফোনের কলরেট সর্বনিম্ন .২৫ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ২ টাকা নির্ধারণ করা আছে। একই সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড পালস সুবিধা চালু করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top