সকল মেনু

মহানগর দ্বিখণ্ডিত হচ্ছে রাতে !

ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ24বিডি): বিএনপির ঢাকা মহানগর কমিটিতে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত আসছে আজ রাতে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার দায়ে অভিযুক্ত এ ইউনিটকে ভেঙে দু’টি ইউনিট অথবা না ভেঙে নতুন কমিটি করতে পারেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

তবে এর আগে মহানগরের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। রাত ৮ টায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক হবে। দলীয় সূত্র এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম  জানান, রাতে গুলশান কার্যালয়ে বর্তমান ঢাকা মহানগর কমিটিকে ডেকেছেন চেয়ারপারসন। শীর্ষ নেতাদের মতামত শোনার জন্য বৈঠক হবে। তবে নতুন কমিটি সম্পর্কে কিছু জানেন না তিনি।

সূত্রের দাবি, বৈঠকে কমিটি ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে কথা বলবেন খালেদা জিয়া। কমিটি ভেঙে নতুন একটি আহ্বায়ক কমিটি হতে পারে। ২১ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির মেয়াদ হতে পারে এক মাস। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ওয়ার্ড, থানা ও মহানগরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার নির্দেশনা থাকবে।

এছাড়া সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি আনতে ঢাকা মহানগর সংগঠনকে দুই ভাগে ভাগ করার বিষয়েও আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত কথা হয়। ওই বৈঠকে আন্দোলনে মহানগরের বর্তমান কমিটির ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, একক কমিটি হলে এর সভাপতি করা হতে পারে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আর সাধারণ সম্পাদক করা হতে পারে যুগ্ম সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানকে। তবে আমানউল্লাহের ঘনিষ্টজনরা বলছেন, একক কমিটি হলে আমান সভাপতি হতে চান। এছাড়া কমিটিতে গতি আনতে মহানগরকে দুটি ভাগেও ভাগ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণের সভাপতি হতে পারে সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আর সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। পিন্টু বর্তমানে কারাগারে আছেন।

এদিকে উত্তরের সভাপতি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন ঢাকা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম। তবে মিন্টু মহানগর কমিটি না ভেঙে একক কমিটি হলে পদ নিতে চান।

২০১১ সালের ১৪ মে বেগম খালেদা জিয়া সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক এবং আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচন করার কথা থাকলেও প্রায় দুই বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

তবে বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে জেলে রেখেই কমিটি ভাঙাকে ভালো চোখে দেখছে না মহানগরের অনেক নেতা। তাদের মতে, কমিটি ভাঙার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাদেক হোসেন খোকার উপস্থিতির বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।

জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান  জানান, দলের মহানগর কমিটি নিয়ে ভাবছে বিএনপি। এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে পরিবর্তন আসতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top