কামাল হোসেন মাসুদ,নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে চেড়ে যাওয়া বিআরটিসি বাস মাইজদী বাজার এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ পাহারায় অবরোধ ও হরতাল সমর্থকরা ইটপাটকেল ছোড়ে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাংচুর করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পিকেটাররা ইট-পাটকেল ছুড়লে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোশাররফ
হোসেন তরফদার ইটের আঘাতে আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় ৪ জনগুলিবিদ্ধসহ ১০জন নেতাকর্মি আহত হয়েছে বলে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন কান দাবি করেন। পুলিশ ঘটনার এলাকা থেকে ৫জনকে আটক করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে একটি বিআরটিসি বাস চেড়ে যায়। বাসটি জেলা শহরের নাপিতের পুল এলাকায় আসা মাত্র ১৮ দলের পিকেটাররা বাসটিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। পরে বাসটি দ্রুত চলে যেতে থাকলে পুনরায় মাইজদী বাজারের এলাকায় পৌঁছলে পিকেটারা পুনরায় ইটপাটকেল ছুড়ে বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাংচুর করে। তাৎক্ষণিত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পিকেটারদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে পিকেটাররা পুলিশকে লক্ষ করেও ইটপাটকেল ছুড়ে। এতে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইটের আঘাতে আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় শহর ছাত্রদলের নেতা কাউসার হোসেন ফারুক (২৬), যুবদল নেতা আকবর হোসেন (৩৫), ছাত্রদল কর্মি ফারুক (২২) ও স্থানীয় ব্যবসায়ী জামাল ।সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোশাররফ হোসেন তরফদার গুলি
বর্ষণ ও ৫জনকে আটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে পিকেটাররা বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়লে তিনি আহত হন। পরে
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।