সকল মেনু

বিএনপি নেতা হত্যার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ আটক-৩

 কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মুন্সী রশিদুর রহমানকে কমান্ডো ষ্টাইলে শত শত লোকের সামনে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ বিএনপি নেতাসহ তিন জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন কুমারখালী উপজেলা বিএনপির ৩নং যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন (৪৫), তার বড় ভাই হাফিজুর রহমান খোকন (৫৩) ও মহেন্দ্রপুর বাজারের ফার্মেসী মালিক জিল্লুর রহমান (৪২)। আজ সোমবার বেলা বারটার দিকে কুমারখালীর নিজ বাড়ী থেকে হাফিজুর রহমান খোকনকে পুলিশ আটক করে। এর আগে রোববার রাত ১২টার দিকে রশিদুর রহমান এর লাশ দেখে ও হরতাল এর সর্মথনে মিছিল শেষে কুষ্টিয়া থেকে বাড়ী ফেরার পথে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী সড়কের মীর মোশাররফ সেতু এর নিকট পৌছালে পুলিশ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিনকে আটক করে। অপরদিকে রাতেই পুলিশ নিজ বাড়ী থেকে জিল্লুর রহমানকে আটক করে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, কারা কেন এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে পুলিশ এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা তুহিন ও জিল্লুকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। জেলা এনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী বলেন, নিজ দলীয় কর্মীদের আটকের ব্যাপারটি প্রহসন মূলক। প্রসঙ্গত, রোববার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কুমারখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর বাজারে মুন্সী রশিদুর রহমান স্কুল সংলগ্ন বাজারের একটি দোকানে বসে মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন, জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজনের সাথে কুশল বিনিমিয় করেছিলেন। এ সময় একটি মটর সাইকেলে যোগে আসা ২ সন্ত্রাসী মটরসাইকেল থামিয়ে খুব কাছ থেকে মুন্সী রশিদুর রহমানকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি করে আবার দ্রুত মটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরবর্তীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top