ফরহাদ, নড়াইল: চারণকবি বিজয় সরকারের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৪দিনব্যাপি বিজয় মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পকলা একাডেমিতে ফিতা কেটে চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক আব্দুল গাফফার খান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা সাইফুল হাসান মিলন, আকরাম শাহীদ চুন্নু, কলেজ অধ্যক্ষ রওশন আলী, চিত্রশিল্পী বলদেব অধিকারী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হেমায়েত উল্লাহ হিরু, মলয় কুন্ডু, আবু হানিফ প্রমুখ। ৪দিনব্যাপি অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে কবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, চিত্র প্রদর্শনী, বিজয়গীতি প্রতিযোগিতা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, কবি গানের আসর, বিজয়গীতি পরিবেশনা ও বিজয় স্বর্ণপদক প্রদান। এ বছর (২০১৩) বিজয় স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কবিয়াল মনি শংকর সরকার। তিনি বিজয় সরকারের শিষ্য ও প্রখ্যাত কবিয়াল রসিক লাল সরকারের ছেলে।
বিজয় সরকার ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ৭ ফাল্গুন সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। তার দুই স্ত্রী বীণাপানি ও প্রমোদা অধিকারী। বিজয় সরকারের প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সঙ্গীত ও কবিগানের জন্য তিনি ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। তিনি নবমশ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। মতান্তরে মেট্রিক পর্যন্ত। ১৩৯২ সালের ১৮ অগ্রহায়ণ (১৯৮৫ সালের ২ ডিসেম্বর) বিজয় সরকার চিকিৎসারত অবস্থায় কলকাতায় পরলোকগমন করেন এবং কলকাতার কেউটিয়ায় তাকে সমাহিত করা হয়।
শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চারণকবি বিজয় সরকারকে ২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হয়। ‘পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনি একদিন ভাবি না মনে।’ ‘এই পৃথিবী যেমনি আছে তেমনি ঠিক রবে সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে একদিন চলে যেতে হবে।’ ‘তুমি জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের সাধনা’সহ অসংখ্য মর্ম ও হৃদয়স্পর্শী গান রচনা করেছেন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।