এম এইচ হোসেন, খুলনা থেকে: খুলনার রূপসা উপজেলায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রাঘাতে মোতালেব মোড়ল (৫০) নামের এক কৃষক ও কয়রা থানায় নিজের রাইফেলের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবল জুয়েল রানা নিহত হয়েছেন। সোমবার পৃথকভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর ও বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেমের সঙ্গে একই গ্রামের মোতালেব মোড়লের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার ভোর ৬টার দিকে ইউপি মেম্বর তার লোকজন দা, কুড়াল, লাঠি-সোটা নিয়ে মোতালেব মোড়লের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা মোতালেবকে ঘর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে বাইরে আনে এবং ব্যাপক মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে যায়। লাকাবাসি তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে। তার দুই হাত, দুই পা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া তার বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। নিহত মোতালেব মোড়ল রূপসার বামনডাঙ্গা গ্রামের মৃত ইদুল মোড়লের পুত্র। রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, স্থানীয় মেম্বরের সাথে মোতালেবের জমিজমা নিয়ে গোলযোগ ছিল। সেই সূত্র ধরেই এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। মলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। অপরদিকে জানা গেছে, দুপুরের খাবারের জন্য জুয়েল রানা থানা অভ্যন্তরের আবাসনে যায় এবং সেখানে সে পুলিশের পোষাক পা অবস্থায়ই বিশ্রাম নিচ্ছিল। এ সময় সেখানে অন্য কেউ ছিল না। বেলা ২টার দিকে গুলির শব্দ পেয়ে আশপাশে থাকা লোকজন তার কক্ষে ছুটে যায় এবং জুয়েলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তাকে দ্রুত জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, খুলনা পুলিশ লাইন থেকে জুয়েলকে গত ৯ নভেম্বর কযরায় দায়িত্বে প্রেরণ করা হয়। সে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার শাসন গ্রামের মহি ফকিরের পুত্র।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।