ভোলা প্রতিনিধি : ইসলামীয়া হোমিও ফার্মেসী অন্তরালে “বোরহানউদ্দিনে সুচিকিৎসার নামে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে ব্যাপক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ডাক্তার নাম ধারী ভূয়া চিকিৎসক মোঃ আল আমিন” শীর্ষক শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশের পরও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের। ওই ভূয়া ডাক্তার সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এখন আরোও বীরদর্পে তার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তার কর্মজীবন খনকারী দিয়ে শুরু হলেও দাখিল পাস করেই তিনি বর্তমানে নামের পূর্বে ডাক্তার বসিয়ে প্রতারণা করছে এলাকার সহজ সরল লোকজনদের সাথে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে সরকারী অনুমোদন ছাড়া প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বীরদর্পে এ তথাকথিত ডাক্তার তার জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, আল আমিনের গ্রামের বাড়ী দক্ষিণ সওদাগর পাড়া তালতলী উপজেলার বরগুনা জেলায়। জন্ম ১৯৬৮ সালে। দাখিল পাস করেন ২০০৮ সালে। তিনি ৫/৬ বছর পূর্ব থেকে খনকারী কাজ শুরু করেন। তিনি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানায় বিয়ে করেন। বিয়ের সুবাদে ২০১১ সালে চরফ্যাশন থেকে জড়িয়ে পড়েন হোমিও ব্যবসার সাথে। তিনি হোমিও হোল সেলার হিসাবে বোরহানউদ্দিন বাজার মসজিদের সামনে মৌচাক মার্কেটের ২য় তলায় ও পৌর পশ্চিম বাজারে শাখা অফিস খুলে বসেন। কিছু দিন পর থেকে নিজেকে বড় ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা শুরু করেন। তার অনিয়মের সংবাদ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশের পর একটু নড়ে চড়ে বসেন ওই ভুয়া ডাক্তার। এরপর পৌর বাজারের মসজিদের সামনে মৌচাক মার্কেটের ২য় তলা ঔষদের গুদাম হিসাবে ব্যবহার করেন। আর পশ্চিম বাজারের শাখা অফিসটি বন্ধ করে দেন। সংবাদ প্রকাশের পর নিজে কিছু দিন আত্মগোপনে চলে যান। এছাড়া তার নামের পূর্বে ডাক্তার লেখাটি উঠেয়ে ডাঃ মোঃ আনিছুর রহমানকে রোগি দেখার জন্য এনে উপজেলায় মাইকিং ও সাইন বোর্ড টানিয়ে প্রচার প্রচারণা চালান। ওই ডাঃ আনিছুর রহমান বোরহানউদ্দিন থেকে চলে গেলে আলামিন নিজেকে আবারোও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নামের পূর্বে ডাক্তার লিখে উপজেলায় ব্যানার সাইনবোর্ড, পেষ্টুন, ব্যানার টানান। কিছু দিন পর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবারোও ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে পৌর বাজারের ইফতেহাদ চৌধুরী প্লাজার ৩য় তলায় এ রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তিনি। আবারোও পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জে বড় বড় পোস্টার, ব্যানার, সাইনবোর্ড লাগিয়ে যৌন রোগ থেকে শুরু করে সকল পুরাতন জটিল ও কঠিন রোগের নিজেকে বড় ডাক্তার হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেন। এলাকার সহজ সরল লোকজন এতে আকৃষ্ট হয়ে তার কাছে ভীড় জমাতে শুরু করেন। এ সুযোগে তিনি এলাকার সহজ সরল লোকদেরকে কোর্স মেয়াদী ঔষধ দেয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া।
অন্যদিকে জানা যায়, তিনি পুরুষ ও মহিলা প্রতিনিধি দ্বারা গ্রামে গ্রামে পুরুষ ও স্ত্রীদের কাছে যৌন উত্তেজনা মূলক ঔষুধ বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া উঠতি বয়সী যুবক যুবতীরা ভীর জমাচ্ছে ওই সকল প্রতিনিধির মাধ্যমে তার অফিসে। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পড় সিভিল সার্জনসহ কর্তা ব্যক্তিরা ওই ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশার বানী শুনালেও অজ্ঞাত কারণে অদ্যবধি কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। যার ফলে তিনি এখন আরোও বেপরোয়া ভাবে তার ব্যবসার কার্যকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনেক ম্যানেজ করেই তার ব্যবসা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সচেতন মহলের দাবী আল আমিন দাখিল পাস করে পোষ্টার, ব্যানারে, সাইনবোর্ডে নিজেকে হোমিও বড় ডাক্তার পরিচয় দিয়ে এ উপজেলার সাধারণ লোকজনের সাথে প্রতারণা করে ব্যাপক অর্থ হাতিয়ে নিলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানান তারা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।