সকল মেনু

ইরানে হামলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না ইসরায়েল

গত ১ অক্টোবর ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাল্টা হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে ইসরায়েল। গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসলেও সেখান থেকে বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স ও টাইমস অব ইসরায়েল এই তথ্য জানিয়েছে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, ‘মন্ত্রীরা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।’ তবে সূত্র জানায়, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া কীভাবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে মার্কিনিদের সঙ্গে সমন্বয় করার ইচ্ছা ইসরায়েলের আছে ও উভয় পক্ষের মধ্যে কৌশলগত আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-১২’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল মন্ত্রিসভা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে ইরানের ওপর হামলা চালানোর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীদের অনুমোদন দরকার পড়বে। প্রয়োজন হলে টেলিফোনেও সেই অনুমতি নেওয়া যাবে।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টাইমস অব ইসরায়েলকে জানায়, আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিল। কিন্তু তার সেই সফর এখনো প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পায়নি। মূলত, ইরান আক্রমণের বিষয়টি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার কথা ছিল গ্যালান্টের।

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত সপ্তাহেই ইয়োভ গ্যালান্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার সফর আটকে দেন। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলাপ করেছেন। কিন্তু তারা কী বিষয়ে আলাপ করেছেন, সেটা খোলাসা করেনি তেল আবিব বা ওয়াশিংটন।

তবে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এই আলাপকে ‘সরাসরি’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, বাইডেন ও নেতানিয়াহু ইরানি হামলার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন। তবে এই দুই নেতা কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, সেটা নিয়ে বিস্তারিত জানাননি।

এর আগে গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। সেই হামলায় ইসরায়েল কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার না করলেও ইরান দাবি করেছে, তাদের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তেহরান সে সময় এটাও দাবি করেছিল যে, গুপ্তহত্যার শিকার হামাসের প্রয়াত প্রধান ইসমাইল হানিয়া, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top