হটনিউজ প্রতিবেদক: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশ আলোচনায় রয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। ইতোমধ্যেই তিনি এলাকার লাখো মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। বর্তমানে জামাল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে নগরকান্দা-সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধুর আর্দশের পরিবারে জন্ম নেওয়া জামাল হোসেন মিয়া ছাত্র থাকাকালীন সময় থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। যার ধারাবাহিকতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের। দক্ষিণ বঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদ নির্বাচন রুকসুর নির্বাচিত জিএস ও এজিএস ছিলেন। রাজপথের একজন অগ্রসৈনিক ছিলেন জামাল হোসেন মিয়া। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে জুলুম নির্যাতন সহ্য করেও পিছপা হননি।
হামলা, মামলা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন সময়ে যখন কেউ আওয়ামী লীগের নাম নিতে ভয় পেতেন সেই সময়েও জামাল হোসেন মিয়া তার অনুসারীদের নিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ড পালন করেছেন। এজন্য তাকে বেশ মাসুলও দিতে হয়েছে। নগরকান্দার তালমা এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান জামাল হোসেন। তার পিতা আবু শহিদ মিয়া ছিলেন একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন পরিষদের একাধিকবারের চেয়ারম্যান।
এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বর্তমানে তিনি নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে রয়েছেন। ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক কমিটির সদস্য।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। এমন সরব আলোচনা চলছে গোটা এলাকাজুড়ে। দলীয় নেতা-কর্মী ও তৃণমূলের আস্থার প্রতিক হিসাবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন শেখ হাসিনা ও দলের প্রশ্নে আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। যিনি স্কুলে পড়াকালীন সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর আর্দশের একজন পরীক্ষিত সৈনিক।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন জামাল হোসেন মিয়া। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রচারনা চালিয়ে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করছেন। তার এসকল কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন পর হলেও দলের নেতা-কর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। তার হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে নগরকান্দা ও সালথা আওয়ামী লীগে।
ফরিদপুর-২ আসনে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে ইতিবাচক সারা পড়েছে জামাল হোসেনকে নিয়ে। কারন হিসাবে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারন মানুষ তাকে ক্লিন ইমেজ ও কর্মী বান্ধব হিসাবেই বিবেচনা করছেন।এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে বেশ আন্তরিক জামাল হোসেন মিয়া। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকছেন তিনি। দলের নেতা-কর্মীদের নামে মামলা হবার পর তাদের পাশে দাঁড়ান জামাল হোসেন মিয়া। এমনকি নির্যাতিত অসহায় নেতা-কর্মীদের পরিবারের পাশে সব সময় সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। এলাকার যুবকদের মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে খেলাধুলার পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা করে দিয়েচেন তিনি। দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য অর্থ সহযোগীতা দিয়ে যাচ্ছেন।
শুধুমাত্র একজন রাজনীতিবিদ হিসাবেই সফল নন তিনি, মানুষের পাশে থাকার কারনে তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সব সময় প্রচার বিমুখ এই মানুষটি তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ফরিদপুরের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া ফরিদপুর-২ আসনে নেীকা প্রতীক পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ ভোটারেরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গুডবুকে’ থাকা এবং ফরিদপুর-২ আসনের লাখো মানুষের হৃদয়ে স্থান পাওয়া জামাল হোসেন মিয়াই হতে যাচ্ছেন এ আসনের নৌকার কান্ডারী এমন সরব আলোচনা এখন এলাকাজুড়ে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।