পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১১১৩ নম্বর কোল ফেইসে উত্তোলনযোগ্য কয়লার মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বুধবার (৩০আগস্ট) সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে গেছে।
এরপর ১৪১২ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। ১১১৩ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেইসে স্থাপন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে দুই মাস সময় লাগতে পারে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান।
তিনি বলেন, খনি ভূ-গর্ভে ১১১৩ নম্বর কোল ফেইস থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছিল গত ২৫ এপ্রিল। এই ফেইস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর ১৪১২ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে।
একটি ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষ হলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে নতুন ফেইসে স্থাপনের জন্য স্বাভাবিকভাবে ৪০-৪৫ দিন সময় লাগে। এছাড়া ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। পুনরায় উৎপাদনে যেতে দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বড়পুকুরিয়ার কয়লার উপর নির্ভরশীল পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১নং ও ২নং ইউনিট দুটি বন্ধ রয়েছে। ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩নং ইউনিট চালু রেখে ১৮০-২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এতে দৈনিক কয়লা লাগছে প্রায় ২ হাজার টন। কয়লাখনি ইয়ার্ড ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইয়ার্ডে ১ লাখ ১০ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে ৩নং ইউনিটটি দুইমাস চালু রাখা যাবে।
প্রসঙ্গত, বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন হয়।
তবে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে চালানো হয় না। কয়লার সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দুটি ইউনিট চালু রেখে ৩০০ থেকে ৩৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে দৈনিক কয়লার প্রয়োজন প্রায় ৪ হাজার মে.টন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।