সকল মেনু

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কোনো নিষেধাজ্ঞা নয় : কৃষিমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। আমরা যেটি চাই- দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নির্বাচন, সেটিই যুক্তরাষ্ট্র আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। এ ক্ষেত্রে বিএনপিই মূল বাধা।

আন্দোলন করে, সন্ত্রাস করে বিএনপি নির্বাচনকে ব্যাহত করতে চায়, বানচাল করতে চায়। বিএনপি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল। সে রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে জন্যই যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে।

শনিবার (২৭ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। গাজীপুরের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলে অনেক ফ্যাক্টর কাজ করে। গাজীপুরে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, আমরা সেটিই চেয়েছিলাম।

আমরা আগের মতো আবারও জাতিকে দেখিয়েছি বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, আন্দোলন করে আগামী নির্বাচনকে বিএনপি ব্যাহত করতে পারবে না, বিএনপি আন্দোলন করে কোনোক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগামী নির্বাচনও ব্যাহত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হবে। তার পরও বিএনপি যদি ষড়যন্ত্র করে অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চায়, নির্বাচন বানচাল করতে চায়, তাহলে এ দেশের প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা মোকাবেলা করবে।

আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করবে।

সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, টাঙ্গাইলের বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যরা, যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।

দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সভাপতি পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top