কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ট্রেন দুর্ঘটনার ২৬ ঘণ্টা পরও শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত দুই ট্রেনের ৯টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাত দেড়টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে আলো স্বল্পতার কারণে রাতে তারা উদ্ধার অভিযান শুরু করতে পারেনি।
সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে আরও একটি রিলিফ ট্রেন আসলে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে একসঙ্গে উদ্ধার কাজে শুরু হয়।
নাঙ্গলকোট স্টেশন মাস্টার মো. জামাল উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় তিন ও চার নম্বর (লুফ) লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূল লাইন দুটির ক্ষতি না হওয়ায় রাত থেকে আপ ও ডাউন দুইদিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
উদ্ধার কাজে নেতৃত্বদানকারী রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় বলেন, সকাল থেকে শুরু হওয়া উদ্ধার অভিযানে ৯টি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিন ও মালবাহী ট্রেনের একটি বগি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আরও একটি রিলিফ ট্রেন রওয়ানা দিয়েছে। আশা করছি, রাতের মধ্যে হাসানপুর এসে পৌঁছাবে। এরপর অবশিষ্ট বগি ও ইঞ্জিন উদ্ধার করতে সক্ষম হবো। তবে এতে কতক্ষণ সময় লাগবে এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বপাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের পেছনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে সাতটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এসময় মালবাহী ট্রেনটির চারটি বগিও লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এতে সোনার বাংলা ট্রেনের চালকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। তবে এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হননি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।