সকল মেনু

ইসির আলোচনায় যাচ্ছে না বিএনপি

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে সমমনা জোট ও দলগুলোকে নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। একটি নিরপেক্ষ তত্বাবধায়তক সরকার গঠনের পূর্বে কোনো কোনো সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দলটির নেতারা বলেন, বর্তমানে যেখানে সরকারের কথার বাইরে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করতে পারে না, এমন পরিস্থিতিতে তাদের সঙ্গে আলোচনা যাওয়া অর্থহীন। আগামীকাল বুধবার সংবাদ গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে জানাবেন।

সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকের শুরুতেই নির্বাচন কমিশনের আলোচনার বিষয়ে কথা তোলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচন কমিশনের চিঠির ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, তখন সাবই একযোগে বলে ওঠেন, কোনোভাবেই কোনো আলোচনায় যাওয়া ঠিক হবে না। তবে এর মধ্যে দুই-একজন নেতা লিখিত ভাবে চিঠির জবাব দেয়ার পক্ষে মত দেন। তারা বলেন, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সহ বিএনপির সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো কি কি তা লিখিত কমিশনকে দিলে বোঝা যেত যে তারা পরবর্তী কি পদক্ষেপ নেন। তবে বেশিরভাগ নেতার মত- লিখিত দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারন, চিঠির কপিটা যেহেতু দল নয় মহাসচিব বরাবর তারা পাঠিয়েছে, তাই বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেয়াটাই ভালো হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসছি না, এটাই সিদ্ধান্ত।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরুমাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের জুলাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডেকেছিল ইসি। সে সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপি। এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে মতবিনিময়ের জন্যও দলটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সে আমন্ত্রণেও সাড়া দেয়নি বিএনপি। দলটি শুরু থেকেই বর্তমান কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। দলটির মহাসচিব বরাবরাই বলে আসছেন নির্বাচন অবশ্যই একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কথা বললে সেই বিষয়ে কথা হবে, অন্য কোনো বিষয়ে কথা নয়।

এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে চিঠি দেন সিইসি। গত সোমবার বিএনপির মহাসচিব এক অনুষ্ঠানে বলেন, এই সরকার নির্বাচনব্যাবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আবার নাটক করে। নির্বাচন কমিশন সংলাপের জন্য আমাদের চিঠি পাঠায়। আমরা তো বলেছি, সংকট একটাই- নির্বাচন কীভাবে হবে, কোনো ব্যবস্থায় হবে। নির্বাচন অবশ্যই একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। কথা বললে সেই বিষয়ে কথা হবে, অন্য কোনো বিষয়ে কথা নয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top